কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মো. আলী নামের এক মুক্তিযোদ্ধাকে স্থানীয় প্রশাসনকে না জানিয়েই দাফন করা হয়েছে। পরে রোববার (২২ অক্টোবর) সকালে সাংবাদিকদের কাছে মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তানভীর হোসেন চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার উত্তর ফালগুন করা গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা আলীর বাড়িতে ছুটে যান।
ইউএনও তানভীর হোসেন মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে উপস্থিত হয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। সেই সঙ্গে দাফন-কাফনের খরচ বাবদ একটি অনুদানের চেক তার ছেলে শাহ আলম বাবুর হাতে তুলে দেন। এ সময় সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল হাসেমসহ পৌর এলাকার অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল হাসেম বলেন, ‘শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় মুক্তিযোদ্ধা আলীকে রাত ৯টায় দাফন করা হবে জানানো হয়। ওই এলাকার মুক্তিযোদ্ধা আলী নেওয়াজ আমাকে এ তথ্য দেন। পরে আমি তাকে জানাই এত অল্প সময়ে কীভাবে কী করব? আর রাতে গার্ড অব অনার দেওয়ার কোনো বিধান না থাকায় বিষয়টি আমি প্রশাসনকে অবহিত করিনি।’
চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ ত্রিনাথ সাহা জানান, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের মৃত্যুর পর গার্ড অব অর্নার দিতে পুলিশ সব সময় প্রস্তুত। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলীর মৃত্যুর সংবাদটি আমাকে কেউ অবহিত করেননি যেটা খুবই দুঃখজনক।’
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভির হোসেন জানান, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা আলীর মৃত্যুর সংবাদটি আমাকে কেউ অবহিত করেননি। পর দিন একজন সাংবাদিকের কাছে মৃত্যুর খবর শুনে সাবেক এক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারকে সঙ্গে নিয়ে ওই বাড়িতে ছুটে যাই। তাৎক্ষণিক খবর পেলে রাতেই আমি যেতাম। যখনই কোনো মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু হবে তাৎক্ষণিক সংবাদটি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করার জন্য সকল মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অনুরোধ করছি।’
মন্তব্য করুন