লালমনিরহাটে কলেজছাত্রী গণধর্ষণের ঘটনায় সহকর্মীদের মানববন্ধনের ২ ঘণ্টার মধ্যে আসামি আনসার গাটু ওরফে সোহাগকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) বিকেল সাড়ে ৩টায় তাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আনসার গাটুর বাড়ি সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের আমবাড়ি গ্রামে।
এর আগে কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনার পাঁচদিন পেরিয়ে গেলেও ধর্ষকরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে জেলার বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা।
ওই ঘটনায় দুপুর ২টায় বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা লালমনিরহাট পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন শেষে পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকের কাছে ধর্ষকদের দ্রুত গ্রেপ্তারে মৌখিক দাবি জানায়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানায়, সোহাগ নামে পরিচয় দেওয়া যুবকের সঙ্গে দুই বছর ধরে তার প্রেম চলছিল। সে বিমানবাহিনীতে চাকরি করার পরিচয় দেয়। ঘটনার দিন শিক্ষার্থীকে বিমান বাহিনীর রানওয়েতে বেড়ানোর কথা বলে সেখানে নিয়ে গিয়ে কৌশলে অন্য বন্ধুদের হাতে তুলে দেয়। এ সময় তারা সবাই তাকে ধর্ষণ করে বলেও তিনি জানান।
১৭ জুন সন্ধ্যা রাতে একটি সরকারি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী প্রেমিকসহ শহরের বিমান বাহিনীর রানওয়ের পাশে ঘুরতে বের হয়। সেখানে আগ থেকেই পাশের ভুট্টা ক্ষেতে লুকিয়ে থাকা আরও তিনজন যুবক মিলে ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে ওই ছাত্রী কৌশলে মোবাইল ফোনে তার বড় বোনকে কল দিলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। এরপর স্থানীয়রা ভুক্তভোগী ছাত্রীকে উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় ছাত্রীর বড় বোন ওইদিন রাতেই সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
লালমনিরহাট জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলসহ কয়েকটি এলাকায় পুলিশের কয়েকটি টিম কাজ করছে। এজাহার নামীয় এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন