সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ভাত দিতে দেরি হওয়ায় স্বামী আব্দুর রশিদ ঠান্ডুর (৬৫) মারধরে স্ত্রী হনুফা খাতুন (৬০) নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর নিহতের মরদেহ তড়িঘড়ি করে দাফনের চেষ্টা করেন স্বামীর পরিবারের লোকজন। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এর আগে বুধবার (২৫ অক্টোবর) এই ঘটনা ঘটে।
এদিকে এ ঘটনায় মৃতের ছোট ছেলে আব্দুল মজিদ বাদী হয়ে শাহজাদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
নিহত হনুফার ৩ ছেলের বউ ফিরোজা খাতুন,সায়ফা খাতুন ও আরিফা খাতুন জানায়, আমরা যার যার ঘরে ছিলাম। তাদের দুজনের মধ্যে ঝগড়ার এক পর্যায়ে জোরে ধুম করে পড়ে যাওয়ার শব্দ শুনে আমরা ঘর থেকে ছুটে এসে দেখি শাশুড়ি চৌকাঠের ওপর পড়ে মারা গেছেন।
এলাকাবাসী জানান, বুধবার জোহরের আজানের পর বাইরে থেকে এসে আব্দুর রশিদ ঠান্ডু তার স্ত্রী হনুফা খাতুনের কাছে ভাত খেতে দিতে বলে। হনুফা নামাজ শেষে করে খেতে দেবেন বলে নিজ ঘরে নামাজ শুরু করেন। এতে আব্দুর রশিদ চরম ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং নামাজ শেষ হতেই স্ত্রী হনুফাকে বকাঝকা ও মারধর শুরু করে। এতে হনুফা দরজার চৌকাঠের ওপর পড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরিবারের লোকজন বিষয়টি গোপন করে তড়িঘড়ি করে লাশ দাফনের চেষ্টা করেন।
এলাকাবাসী আরও জানান, আব্দুর রশিদ বদরাগী ও খ্যাপাটে গোছের মানুষ। অল্পতেই তিনি রেগে গিয়ে মারপিট করেন। প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মারপিট ও ঝগড়ার ঘটনা ঘটতো।
এ বিষয়ে গ্রাম প্রধান জুলফিকার আলী বলেন, উভয় পরিবারের সম্মতিতে আমরা লাশ দাফনের ব্যবস্থা করি। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ দাফনে বাঁধা দিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়।
শাহজাদপুর থানার ওসি খায়রুল বাসার বলেন,খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
মন্তব্য করুন