জামান মৃধা, ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:৪২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

অফিস সময়ে রোগীকে অপেক্ষায় রেখে চলছে কোম্পানি ভিজিট!

ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের কক্ষে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা। ছবি : কালবেলা
ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের কক্ষে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা। ছবি : কালবেলা

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম্য দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাদের প্রতিদিনের দৌরাত্ম্যে নানা হয়রানি ও দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন সাধারণ রোগী ও তাদের স্বজনরা।

সাধারণত চিকিৎসকের কক্ষে সকাল ৯টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ওষুধ কোম্পানি প্রতিনিধিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকলেও তা মানছেন না কেউ। রোগীরা বের হলেই ব্যবস্থাপত্র নিয়ে চলে টানাহেঁচড়া। এতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছেন তারা।

রোববার (২৯ অক্টোবর) সকালে উপজেলার ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন চিকিৎসকের কক্ষের ভেতরে ও সামনে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের ভিড় লেগেই আছে। আর চিকিৎসকরাও ব্যস্ত তার ওষুধ বাণিজ্য নিয়ে।

সুনির্দিষ্ট সময়ের বাইরে তারা ভিজিট করে রোগীদের চিকিৎসা সেবায় ব্যাঘাত ঘটাচ্ছেন। কোনো কোনো রোগীকে চিকিৎসকের কক্ষে ঢুকতে দেখলেই ৮ থেকে ১০ জন প্রতিনিধি ওই কক্ষের সামনে এবং ভেতরে ভিড় করছেন। আবার কেউ কেউ রোগীকে অপেক্ষায় রেখে তাদের ভিজিট সেরে নিচ্ছেন। এর বাইরে প্রতিনিয়তই চোখে পড়ে এসব প্রতিনিধির নানা দৃশ্য।

সরকারি এ হাসপাতালটিতে রোগীরা ডাক্তারের কক্ষ থেকে বের হওয়া মাত্রই বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা তাদের পথে দাঁড় করিয়ে ব্যবস্থাপত্র টেনে নিয়ে সেটির ছবি তুলে রাখেন। প্রায়ই দেখা গেছে, বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা জরুরি বিভাগের চিকিৎসকের কক্ষের সামনে ভিড় করে আছেন। সেই ভিড়ে ঠেলে চিকিৎসকের কক্ষে ঢুকতে হচ্ছে রোগীদের। আবার ভেতরে প্রবেশ করলেও দেখা যায় সেখানে চলছে ভিজিট। এভাবেই প্রতিদিন সরকারি এ হাসপাতালটিতে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলছে। ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন রোগী ও তার স্বজনেরা।

স্কয়ার কোম্পানির প্রতিনিধি আব্দুল লতিফ বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের দুপুর একটা থেকে আড়াইটার মধ্যে ডাক্তারের সঙ্গে ভিজিট করার অনুমতি দেয়। কিন্তু কোনো কোম্পানির সার্ভে থাকলে ওই কোম্পানি হাসপাতালের ডাক্তারের কাছে ফোন করে অনুমতি নেন। তারপর আমরা ভিজিটে আসি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রোগী বলেন, আমি ডাক্তারের কক্ষে ঢুকেই দেখি ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা ওই চিকিৎসকের সঙ্গে কেউ বসে, কেউ দাঁড়িয়ে কথা বলছেন। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর কক্ষে ঢুকে ডাক্তারের কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়েছি।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাশেদুজ্জামান দৈনিক কালবেলাকে বলেন, হাসপাতাল চলাকালে তাদের ভেতরে আসার কোনো নিয়ম নেই। তারা ভেতরে ঢুকছে এ বিষয়টা আগে আমার নজরে আসেনি। আমি এখনই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ব্যালটে যেমন দেখা যাবে এনসিপির শাপলা কলি প্রতীক

বার্জার অ্যাওয়ার্ড ফর ইন্টেরিয়র ডিজাইন ২০২৫ উদযাপন

মিঠুর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

এরদোয়ানকে নিয়ে মন্তব্য করায় সাংবাদিকের ৪ বছর কারাদণ্ড

এবার মালয়েশিয়ার কাছে হারল বাংলাদেশ

পুলিশ বক্সে আশ্রয় নিয়েও বাঁচতে পারলেন না যুবদল কর্মী

অনলাইন শপিং ও গেমিংয়ে সাইবার হামলার ঝুঁকি বাড়ছে : ক্যাসপারস্কি

বাউবির ITVET-এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হলেন ড. শামীম

সাবেক সচিব লতিফুল বারির মৃত্যু

আবারও ইনজুরিতে নেইমার

১০

চট্টগ্রামে ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নস অব দ্য এনভায়রনমেন্ট-২০২৫ অনুষ্ঠিত

১১

বিয়েতে বেলুন বিস্ফোরণ, ভয়াবহ অবস্থা বর-কনের

১২

মায়ের কুলখানি শেষে মারা গেলেন ছেলে

১৩

১ হাজার টাকার জন্য জীবন গেল শুভর

১৪

‘শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার অনুরোধ পর্যালোচনা করা হচ্ছে’

১৫

হোয়াইটওয়াশের পর নিজের ভবিষ্যৎ বোর্ডের হাতে ছেড়ে দিলেন গম্ভীর

১৬

ভূমিকম্প / ঢাবির ৬ হলে কারিগরি নিরীক্ষণ ও মূল্যায়ন সম্পন্ন

১৭

গণসংযোগে জনস্রোত, আলিঙ্গনে সিক্ত নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু

১৮

শিবির করায় ছাত্রত্ব বাতিল, একযুগ পর মাস্টার্সে পেলেন সিজিপিএ-৪

১৯

মানহানিকর বক্তব্য প্রচার নিয়ে আলী রীয়াজের বিবৃতি

২০
X