ঢাকার ধামরাইয়ে কারাগারে থেকেও নাশকতা মামলার আসামি করা হয়েছে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আতিকুর রহমান আতিককে।
জানা গেছে, কারাগারে থাকার পরও রোববার (২৯ অক্টোবর) ঢাকার ধামরাই থানার দায়ের করা নাশকতা মামলায় ৩৬ নম্বর আসামি তিনি।
এ বিষয়টি নিয়ে ধামরাইয়ের বিভিন্ন মহলে চলছে কানাঘুষা। বইছে ব্যাপক সমালোচনার ঝড়। ওই মামলার বাদী হয়েছেন পুলিশের এক কর্মকর্তা।
রোববার ধামরাই থানায় বিএনপির ৪৪ জন নেতাকর্মীকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় কারাগারে থাকা বিএনপির নেতা আতিকুর রহমান আতিককে আসামি করা হয়েছে বলে মামলা সূত্রে জানা গেছে।
ভুক্তভোগীর পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, গত ১৭ অক্টোবর আতিকুর রহমানকে তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে নেয় পুলিশ। কি কারণে বা কোন মামলায় তাকে আটক করা হয়েছে, তা জানতে চাইলে পুলিশ কোনো সদুত্তর না দিয়ে আতিককে নিয়ে যায়। তারপর ভুক্তভোগী পরিবার খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, আশুলিয়া থানায় মামলা দিয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। তাকে আদালতে নেওয়া হলে বিজ্ঞ আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জের জেলহাজতে পাঠান। কারাগারে থাকার পরও ২৯ অক্টোবর ঢাকার ধামরাই থানায় দায়েরকৃত নাশকতা মামলার ৩৬ নম্বর আসামি হন তিনি।
কারাবন্দি আতিকুর রহমানের ছেলে আশিকুর রহমান বলেন, আমার বাবাকে কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াই পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। আবার গতকাল ২৯ অক্টোবর নতুন একটি মামলায় আমার বাবাকে আসামি করা হয়েছে। তাহলে তিনি কি কারারক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে ধামরাইয়ের নাশকতা চালাতে এসেছিলেন। নাকি মামলাটি ভৌতিক কোনো মামলা যা সৃজন করা হয়েছে। তা না হলে কারাগারে অবস্থান করার পরও কি করে একজন কারাবন্দি মামলার আসামি হতে পারেন।
এ বিষয়ে ধামরাই উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুল ইসলাম বলেন, নাশকতার মামলাটি পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সৃজিত একটি মিথ্যা উদাহরণমূলক মামলা। আর কোনো ঘটনায় ঘটেনি ধামরাইয়ে। এমনকি যেখানে বিএনপির নেতাকর্মীদের কোনো অস্তিত্ব ছিল না, যে কারণে পুলিশের এসআই বাদী হয়ে কারাগারে অবস্থানরত বিএনপি নেতা আতিকুর রহমান আতিকসহ ৪৪ জন নেতা কর্মীকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করেছে। আমরা এর সঠিক তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে নাশকতা মামলার বাদী ধামরাই থানার এসআই মো. পান্নু মিয়া বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা আতিকুর রহমানের নাম প্রকাশ করেছে। সে যদি কারাগারে থেকে থাকে তাহলে তদন্তকারী তদন্ত করে নাম বাদ দিয়ে দিবে।
মন্তব্য করুন