জাতীয় চার নেতার অন্যতম এ এইচ এম কামারুজ্জামানের পুত্র, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে এবং ৩ নভেম্বর কারাগারের ভেতরে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা একইসূত্রে গাঁথা। হত্যাকাণ্ডের সুবিধাভোগী ও নেপথ্যের কুশীলবদের খুঁজে বের করার জন্য কমিশন গঠন এখন সময়ের দাবি।’
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সকালে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামানের মাজার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা ও জাতীয় চার নেতার হত্যা মামলার বিচারের রায় হয়েছে। রায় আংশিক কার্যকর হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ডসহ বিদেশে পলাতক আসামিদের দেশে ফিরে এনে রায় কার্যকর করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে সরকার। তবে সরকারের এ চেষ্টা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে ওই সমস্ত দেশ যারা খুনিদের নানা অজুহাতে ফেরত দিতে চায় না। এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের ব্যক্তি কারা ছিলেন, তাদের দেখতে চায় জাতি।’
খায়রুজ্জামান লিটন আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর যোগ্য সহচর জাতীয় চার নেতা। যা ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রমাণ হয়েছে। তারা বঙ্গবন্ধুর সাথে বেইমানি করেননি, অন্যায়ের সাথে আপস করেননি। এই বিষয়গুলো আমাদের স্মরণ রাখতে হবে, মনে রাখতে হবে। আজকের এ দিনে আমি বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাকে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত কখনো দেশের কল্যাণ করেনি। আগামীতেও করবে এমন আলামত নেই। বিএনপির নেতৃত্বের ঠিক নেই। তাদের নেতা কে তারা নিজেও বলতে পারে না। খালেদা জিয়া আসামি হয়ে দণ্ডিত হয়েছেন, অসুস্থ হয়ে আছেন। তারেক জিয়া দণ্ডিত হয়ে বিদেশে পলাতক। এ রকম একটি দল বাংলাদেশের জন্য কিছু করতে পারবে না- এটি বোঝার জন্য বিশেষজ্ঞ হতে হয় না।’
স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাসিক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামালের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহ্সানুল হক পিন্টুর সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন সহসভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বেগম আখতার জাহান, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহীন আকতার রেণী, নাঈমুল হুদা রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসলাম সরকার, দপ্তর সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম বুলবুলসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন