যানবাহন ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, পেট্রলবোমা নিক্ষেপ আর ককটেল বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে বগুড়ায় দ্বিতীয় দিনের অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা।
সোমবার (৬ নভেম্বর) সকাল থেকেই মহাসড়কের কয়েকটি পয়েন্টে অবস্থান নেন অবরোধক সমর্থকরা। বেলা ১১টার দিকে বগুড়া-ঢাকা মহাসড়কে বগুড়া শহরতলীর বেতগাড়ি এলাকায় মহাসড়ক উন্নয়ন কাজে নিয়োজিত সাসেক প্রকল্পের জলবাহী একটি লরির কেবিনে আগুন দেওয়া হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভায়। এর আগে রোববার রাত ৯টার দিকে একই মহাসড়কে ফটকি ব্রিজ এলাকায় কয়েকটি যানবাহনে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, রোববার রাতের ভাঙচুরের ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেনি, তবে শুনেছি ফটকি ব্রিজ এলাকায় ট্রাকের গ্লাস ভাঙচুর করা হয়েছে। সাসেক প্রকল্পের গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা হবে বলেও জানান তিনি।
এ ছাড়াও রোববার রাতে বগুড়া শহরের চারমাথা বাস টার্মিনাল ও ঝোপগাড়ি এলাকায় বেশ কয়েকটি যানবাহনে ভাঙচুর করা হয়। একই সময়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানোর পাশাপাশি দুইটি ট্রাকে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করা হয়। তবে পেট্রলবোমাগুলো ট্রাকের ওপরে পড়লেও আগুন ধরেনি।
সোমবার অবরোধের কারণে সকাল থেকে বগুড়ার দুটি টার্মিনাল থেকে যাত্রীবাহী কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। তবে মহাসড়কে মালবাহী ট্রাক চলাচল আগের দিনের তুলনায় বেশি ছিল।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, রোববার রাতে মহাসড়কে বিভিন্ন স্থানে যানবাহনে ভাঙচুরের চেষ্টা করা হয়েছে। রোববার অবরোধ চলাকালে দিনের বেলা যানবাহনে ভাঙচুর এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের ৫৫ জনের নাম উল্লেখ করে পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা দায়ের হয়েছে বলেও জানান ওসি।
মন্তব্য করুন