প্রথম স্ত্রীর ঘরে একটি ও দ্বিতীয় স্ত্রীর দুটি সন্তান থাকা সত্ত্বেও তৃতীয় বিয়ে করতে যান সিপন মিয়া (৩০)। কনে পক্ষকে না জানিয়ে বরযাত্রী নিয়ে বিয়ে বাড়িতে হাজির হন। বর আপ্যায়নের সকল প্রস্তুতির সঙ্গে বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন কাজি। তখন কনে পক্ষ খবর পায় বর আগে দুটি বিয়ে করেছেন। ঠিক তখনই বরের পোশাক খুলে নিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয় সিপন মিয়াকে।
রোববার (৫ নভেম্বর) সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পাটলী ইউনিয়নে ঘটনাটি ঘটে। তবে এ ঘটনায় মেয়ের পরিবার জানিয়েছে, ছেলের আগে দুইটি বিয়ের ঘটনা তাদের জানা ছিল না।
এই ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীরা জানিয়েছে, সিপন মিয়া জগন্নাথপুর উপজেলার পাটলী ইউনিয়নের দড়িকুঞ্জনপুর গ্রামের লিয়াকত মিয়ার ছেলে। তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। রোববার ২৫ থেকে ৩০ জন বরযাত্রী নিয়ে একই ইউনিয়নের দিনমজুর বাবার কলেজপড়ুয়া মেয়েকে বিয়ে করতে যান। রাস্তায় দ্বিতীয় স্ত্রী দুই সন্তান নিয়ে সিপনের বিয়েতে যেতে বাধা দেন। কিন্তু সিপন কোনো পরোয়া না করে বরযাত্রীসহ কনের বাড়িতে হাজির হন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে গিয়ে সবকিছু বলেন সিপনের দ্বিতীয় স্ত্রী। চেয়ারম্যান বিয়ে বাড়িতে এ সংবাদ পাঠালে হই-হুল্লোড় পড়ে যায়। ঝামেলায় তৃতীয় বিয়ের আগেই বন্ধ হয়ে যায় সকল আয়োজন।
ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের কাছে বরের আগের বিয়ের কথা গোপন করা হয়েছিল। আমরা কিছুই জানতাম না। আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা সাহায্য নিয়ে বিয়ের আয়োজন করেছিলাম। আমার খরচ করা টাকার ক্ষতিপূরণ চাই। তবে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই কারণ বিরাট এক ক্ষতি থেকে আমার মেয়ে রক্ষা পেয়েছে।’
পাটলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আঙুর মিয়া বলেন, ‘আমি ঘটনা শোনামাত্র এলাকার গণ্যমান্য লোকজনকে বিয়ে বাড়িতে পাঠায়। তারা দ্রুতই গিয়ে বিয়ে পাগাল ছেলের হাত থেকে দরিদ্র কৃষকের মেয়েকে রক্ষা করেছে। এছাড়া তারা বিয়ের আয়োজন বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছে।’
মন্তব্য করুন