আতাউর রহমান, ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:২০ এএম
অনলাইন সংস্করণ

কুমিল্লায় ব্যস্ত সময় পার করছেন লেপ-তোশকের কারিগররা

শীত মৌসুমকে সামনে রেখে লেপ-তোশক সেলাই করছেন ব্রাহ্মণপাড়ার এক কারিগর। ছবি : কালবেলা
শীত মৌসুমকে সামনে রেখে লেপ-তোশক সেলাই করছেন ব্রাহ্মণপাড়ার এক কারিগর। ছবি : কালবেলা

প্রকৃতিতে এখনও শরৎকাল। আবহাওয়ায় এসেছে পরিবর্তন। সকাল-সন্ধ্যা হালকা শীতের আমেজ বইছে। পুরোপুরি শীত আসতে যদিও আরও কিছুদিন বাকি। এদিকে শীত মৌসুমকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার লেপ-তোশকের কারিগররা। তবে, আধুনিক সময়ে এসে নানা ধরনের কম্বল বাজারে আসায় আগের তুলনায় বেচাকেনা কমেছে বলে আক্ষেপ লেপ-তোশকের কারিগরদের।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আসন্ন শীত মৌসুমকে সামনে রেখে লেপ-তোশকের কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছেন। দোকানে দোকানে চলছে লেপ, তোশক, বালিশ, কোলবালিশ ও জাজিম তৈরির প্রতিযোগিতা। এবার আকারভেদে প্রতি পিস লেপ বিক্রি হচ্ছে ১২শ থেকে ১৪শ টাকায়, তোশক ১৫শ থেকে ২ হাজার, জাজিম ৪ হাজর ৫শ থকে ৫ হাজার ও বালিশ জোড়া ৪শ থেকে ৫শ টাকায়।

লেপ-তোশকের দোকান মালিকরা জানান, বছরের প্রায় ৮ মাস তেমন বেশি কাজ হয় না। শীতের ৪ মাসের আয়-রোজগার দিয়ে বাকি আট মাস চলতে হয় তাদের। তাই দিন রাতে কাজ করতে হয় শীতের মৌসুমে। তবে, আধুনিক সময়ে এসে বাহারি ডিজাইনের কম্বল বাজারে আসায় কমে এসেছে লেপ-তোশকের চাহিদা।

লেপ-তোশকের কারিগর রাসেল বেডিং স্টোরের মালিক আমির হোসেন জানান, বর্তমান বাজারে কম্বলের চাহিদা বেশি, তাই দিন দিন লেপ-তোশকের চাহিদা কিছুটা কমে এসেছে। বছরের বেশিরভাগ সময়ই আমাদের অলস কাটাতে হয়। শীতের ২-৩ মাসই আমাদের ব্যাবসায়িক মৌসুম। যার কারণে এই সময়ে আমাদের কাজের ব্যস্ততা বেশিই থাকে। সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত কাজ করে ক্রেতাদের চাহিদা মতো লেপ-তোশক তৈরি করে আমাদের এসব ডেলিভারি দিতে হচ্ছে। একেকজন কারিগর প্রতিদিন ৫-৬টি করে লেপ তৈরি করতে পারে। তবে আশা করছি সামনে শীতের তীব্রতা আরও বাড়লে লেপ-তোশকের চাহিদা যেমন বাড়বে তেমনি আমাদের ব্যস্ততা আরও বেড়ে যাবে।

উপজেলা সদরের লেপ-তোষকের আরেক কারিগর আক্তার হোসেন বলেন, এবার শীতের আগেই সন্ধ্যারাত থেকে ভোর বেলা পর্যন্ত কিছুটা ঠান্ডা পড়তে শুরু করেছে। এতে কিছু কিছু অর্ডার হচ্ছে। তীব্র শীত শুরু হলে দোকানগুলোতে চাপ আরও বাড়বে।

লেপ-তোশক ক্রয় করতে আসা সাইফুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে শেষ রাতে ঠান্ডা লাগে, তাই আগেভাগেই একটি পুরাতন লেপের তুলা বদলিয়ে নতুন কাপড় দিয়ে সেলাই করে নিচ্ছি। সাথে একটি নতুন লেপ কিনেছি। তবে গতবারের চেয়ে তুলা ও কাপড়ের দাম অনেকটা বেশি হওয়ায় গত বছরের তুলনায় এ বছর লেপের দাম বেড়ে গেছে।

ব্রাহ্মণপাড়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল হক বলেন, কোনো এক সময় প্রতিটি ঘরে ঘরে শীতকালে কাঁথা ও লেপ ব্যবহৃত হতো। সময়ের পরিক্রমায় বাজারে শীত রোধক বিভিন্ন মানের কম্বল বের হয়েছে। এতে বর্তমান বাজারে লেপের চাহিদা কিছুটা কমেছে। তবে, কম্বল থেকে লেপ ব্যবহার অনেক আরামদায়ক।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সারা দেশে বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়ার পূর্বাভাস

ভারতের ভিসা নিয়ে যে তথ্য দিলেন হাইকমিশনার

হাজত থেকে পালানো সেই যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

‘ইউনিভার্সেল মেডিকেলে ফ্রি হার্ট ক্যাম্প’ সম্পন্ন

ক্যাম্পাসে চাকসু নির্বাচনের উন্মাদনা, ১ মাস ধরে হাসপাতালে ইমতিয়াজ-মামুন

ঘরের চারদিকে দুর্গন্ধ, দরজা খুলতেই দেখা গেল মর্মান্তিক দৃশ্য

ইসলামী ব্যাংকের ২০০ কর্মী ছাঁটাই, ৪৯৭১ জনকে ওএসডি

করোনা পরবর্তী সময়ে যুবকদের মধ্যে হৃদরোগ বাড়ছে

হংকং ম্যাচ নিয়ে যা বললেন জামাল

তারেক রহমানের পক্ষে ৪৫টি মণ্ডপে সহায়তা দিলেন সেলিম

১০

ব্র্যাক ব্যাংকের নীলফামারী অঞ্চলে এজেন্ট মিট আয়োজন

১১

স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ, মঙ্গলবার থেকে কার্যকর

১২

প্রবাসীর দেওয়া পাথরে নতুন পথ নোয়াপাড়ার মানুষের

১৩

ভারতে ঢুকতে বিদেশিদের জন্য নতুন নিয়ম

১৪

স্মারক রৌপ্যমুদ্রার নতুন দাম নির্ধারণ

১৫

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে সচেতন হওয়ার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের

১৬

যে প্রক্রিয়ায় বাড়বে সরকারি বেতন

১৭

মেহজাবীনের ‘সাবা’ নিয়ে অনুভূতি জানালেন রাহিতুল ইসলাম

১৮

পুলিশ হেফাজতে যুবকের মৃত্যু, এসআই গ্রেপ্তার

১৯

পিআর নিয়ে নির্বাচনকে অনিশ্চিত করার ষড়যন্ত্র চলছে : নীরব

২০
X