রংপুরের পীরগাছায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী রফিকুল ইসলাম অপুকে (৩৪) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৫ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে এ রায় দেন রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. রোকনুজ্জামান।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার ধীরগঞ্জহাট রহমতপুর গ্রামের আজিম উদ্দিনের মেয়ে সাগরী বেগমের (২১) সঙ্গে ২০১৪ সালে বিয়ে হয় পীরগাছা উপজেলার কান্দি কাবিলাপাড়া গ্রামের ওয়াহেদ মন্ডলের ছেলে রফিকুল ইসলাম অপুর। বিয়ের কিছুদিন পরেই রফিকুল স্ত্রী সাগরীকে তার বাবার নিকট থেকে এক লাখ টাকা যৌতুক আনার জন্য চাপ দিতে থাকেন। এতে স্ত্রী রাজি না হলে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। এ অবস্থা চলতে থাকাকালে রফিকুল ইসলাম অপুর সঙ্গে তার ভাবির পরকীয়া জেনে যান স্ত্রী সাগরী। এ ঘটনার জেরে সাগরীকে একবার হত্যাচেষ্টা করা হয়েছিল। পরে ঘটনার দিন ২০১৭ সালের ২৯ ডিসেম্বর রাতের কোনো এক সময় সাগরীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন স্বামী রফিকুল ইসলাম।
এ ঘটনায় সাগরী বেগমের বাবা আজিম উদ্দিন বাদী হয়ে রফিকুল ইসলাম অপু এবং তার মা, বাবা, ভাই ও ভাবিসহ ছয়জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা। মামলাটি প্রায় পাঁচ বছর আদালতে বিচারাধীন থাকার পর মঙ্গলবার এ রায় ঘোষণা করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জাহাঙ্গীর হোসেন তুহিন বলেন, সাগরী বেগম তার স্বামীর পরকীয়া ও যৌতুকের বলি হয়েছেন। দীর্ঘদিন বিচারকাজ চলার পর স্বামী রফিকুল ইসলাম অপুর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
মন্তব্য করুন