ঢাকা-চট্টগ্রামের পর এবার প্রান্তিক পর্যায়ে চুয়াডাঙ্গায় গরু মেলার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিডিএফএ)।
চুয়াডাঙ্গা শহরের টাউন ফুটবল মাঠে শুক্রবার (১০ নভেম্বর) দুই দিনব্যাপি এই গরু মেলার শুভ উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ। মেলায় চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও কুষ্টিয়ার খামারিরা তাদের বিশেষ মানের গরু নিয়ে অংশগ্রহণ করেছেন।
উদ্বোধনী সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান। সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ মোহাম্মদ রেয়াজুল হক, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা, পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুন, প্রমুখ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন জেলার রাজনৈতিক ও সুশিল সমাজের নেত্রীবৃন্দ ও জেলার ভেটেনারি চিকিৎসকগণ।
প্রধান অতিথি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ বলেন, আজকে এই গরু মেলা আয়োজনের মাধ্যমে সবাই জানতে পারবে গরুর বিভিন্ন জাত সর্ম্পকে। আজকের এই মেলার মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরি হবে। সরকারের প্রাণীসম্পদ খাতের যে অগ্রযাত্রা তা এই মেলার মাধ্যমে তুলে ধরা হবে। তবে বর্তমানে বাংলাদেশে গো খাদ্যের যে দাম তা কমানোর জন্য বর্তমান সরকার কাজ করছে।
জানা গেছে, এ মেলায় ২৫০টির মতো আকর্ষনীয় গরু উঠেছে। গরু কেনাবেচার পাশাপাশি খামারিরা একে অপরের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় করবেন। থাকছে গরুর জমকালো র্যাম্প শো ও আকর্ষনীয় পুরস্কার।এছাড়া কম দামে গরুর সুষম খাদ্য তৈরি ও জাত উন্নয়ন বিষয়ক দুটি প্রশিক্ষণ পরিচালনা করবেন বিশেষজ্ঞরা।
সারাদেশে ৫০ হাজারের বেশি খামারি এই সংগঠনের সদস্য। প্রতি বছর প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ও খামারী সম্মেলনের আয়োজন ছাড়াও এ খাতের নানা দাবি নিয়ে সরব থাকে বিডিএফএ। দুই দিনব্যাপি এ গরু মেলায় অংশ নিয়েছে সারাদেশের তিন হাজারের বেশি খামারি। মেলায় যেন কোনো ভাবে কোনোরকম কোনো গরু অসুস্থ্য যেন না হয় সেজন্য রয়েছে ভেটোনারি টিম। এই প্রথম চুয়াডাঙ্গাতে গরু মেলা হওয়াতে মানুষের আনাগোনা যেন উৎসব মুখোর।
গরু মেলায় অংশগ্রহণকারী খামারিরা জানান, বর্তমানে বাংলাদেশে গো খাদ্যের অনেক দাম। অপরদিকে মাংসের দামও বেশি। তাই মাংসের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে বর্তমানে বাংলাদেশে গরুর সংখ্যা বাড়াতে হবে। তাহলে বাংলাদেশে মাংসের দামও কমবে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে দেশ।
সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলের ক্ষুদ্র খামারিদের সুখ-দুঃখ সেভাবে উঠে আসে না। এ মেলার মাধ্যমে খামারিরা নীতি নির্ধারকদের কাছে তাদের সমস্যা তুলে ধরবেন। এ ছাড়া সারাদেশের খামরিদের সঙ্গে শক্ত মেলবন্ধন তৈরির জন্যই এমন আয়োজন করা হয়েছে। তৃণমূলের খামরীদের উৎসাহ দেওয়া, অভিজ্ঞতা বিনিময়, প্রশিক্ষণ এবং তাদের দুঃখ-দুর্দশা তুলে ধরতেই গরু মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন