শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:০১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

৬ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঝে ইটভাটা, হুমকিতে শিশু স্বাস্থ্য

ইটভাটার জ্বালানির জন্য কেটে রাখা গাছ। ছবি : কালবেলা
ইটভাটার জ্বালানির জন্য কেটে রাখা গাছ। ছবি : কালবেলা

চারদিকে মোট ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, তার মাঝে বিস্তীর্ণ কৃষি জমি। সেই কৃষি জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে মেসার্স ফাতেমা ঝিকঝাক অটো ব্রিকস নামের একটি ইটভাটা। শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার ইন্দিলপুর এলাকায় এই ভাটা তৈরিতে করা হয়নি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা। এতগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছাকাছি দূরত্বে অনুমোদন ছাড়াই ইটভাটা পরিচালনায় প্রশ্ন উঠেছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভূমিকা নিয়ে। স্থানীয়দের দাবি, বছরে একবার এসে নামে মাত্র একটা জরিমানা করেই দায়িত্ব শেষ তাদের। এ যেন জরিমানা নয়, বছর জুড়ে নির্বিঘ্নে পরিচালনার সনদ।

সরেজমিনে দেখা যায়, অবৈধ এই ইটভাটার ২২০ মিটারের মধ্যে অবস্থিত তেজার কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪০০ মিটারের মধ্যে অবস্থিত ইন্দিলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ইন্দিলপুর আব্দুল মজিদ উচ্চ বিদ্যালয়, ৬০০ মিটারের মধ্যে অবস্থিত ইন্দিলপুর বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১০০ মিটারের মধ্যে অবস্থিত ইন্দিলপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করে ২ হাজারের বেশি শিশু শিক্ষার্থী। এতে চরম হুমকির মুখে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা। এসব ইটভাটার নির্গত কালো ধোয়ায় চরম হুমকির মুখে পড়েছে ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামের সবুজ শ্যামল ধান ক্ষেত। ইটভাটায় জমির উপরিভাগের মাটি ব্যবহারের ফলে জমি হারাচ্ছে তার উর্বরতা। যার প্রভাব পড়ছে কৃষি উৎপাদনে। এ অবৈধ ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবে বনের কাঠ পুরানোর অভিযোগও অনেক পুরাতন।

এই বিষয়ে শেরপুর পরিবেশ অধিপ্তরের সহকারী পরিচালক আল মাহমুদ বলেন, ইটভাটা স্থাপনের মতো পরিবেশ না থাকায় তাদের ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ইন্দিলপুর আব্দুল মজিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূর হোসেন বলেন, ইটভাটার কারণে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে। অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন হাঁপানি, এলার্জি, সর্দি কাশিসহ বিভিন্ন রোগে। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে এই ভাটা অপসারণের দাবি করছি।

সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টাচার্য্য বলেন, কালো ধোঁয়ার মধ্যে কার্বন ডাই অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইডসহ আরও ক্ষতিকর সব পদার্থগু বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি করে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য বেশি ক্ষতিকর। জনস্বাস্থ্য রক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

এ ব্যাপারে শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইফতেখার ইউনুস বলেন, পরিদর্শন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সারা দেশে বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়ার পূর্বাভাস

ভারতের ভিসা নিয়ে যে তথ্য দিলেন হাইকমিশনার

হাজত থেকে পালানো সেই যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

‘ইউনিভার্সেল মেডিকেলে ফ্রি হার্ট ক্যাম্প’ সম্পন্ন

ক্যাম্পাসে চাকসু নির্বাচনের উন্মাদনা, ১ মাস ধরে হাসপাতালে ইমতিয়াজ-মামুন

ঘরের চারদিকে দুর্গন্ধ, দরজা খুলতেই দেখা গেল মর্মান্তিক দৃশ্য

ইসলামী ব্যাংকের ২০০ কর্মী ছাঁটাই, ৪৯৭১ জনকে ওএসডি

করোনা পরবর্তী সময়ে যুবকদের মধ্যে হৃদরোগ বাড়ছে

হংকং ম্যাচ নিয়ে যা বললেন জামাল

তারেক রহমানের পক্ষে ৪৫টি মণ্ডপে সহায়তা দিলেন সেলিম

১০

ব্র্যাক ব্যাংকের নীলফামারী অঞ্চলে এজেন্ট মিট আয়োজন

১১

স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ, মঙ্গলবার থেকে কার্যকর

১২

প্রবাসীর দেওয়া পাথরে নতুন পথ নোয়াপাড়ার মানুষের

১৩

ভারতে ঢুকতে বিদেশিদের জন্য নতুন নিয়ম

১৪

স্মারক রৌপ্যমুদ্রার নতুন দাম নির্ধারণ

১৫

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে সচেতন হওয়ার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের

১৬

যে প্রক্রিয়ায় বাড়বে সরকারি বেতন

১৭

মেহজাবীনের ‘সাবা’ নিয়ে অনুভূতি জানালেন রাহিতুল ইসলাম

১৮

পুলিশ হেফাজতে যুবকের মৃত্যু, এসআই গ্রেপ্তার

১৯

পিআর নিয়ে নির্বাচনকে অনিশ্চিত করার ষড়যন্ত্র চলছে : নীরব

২০
X