মঞ্চে তিনি ঝলমলে আলোয় মোড়া এক কে-পপ সুপারস্টার, কিন্তু পর্দায় এবার দেখা মিলল এক ভিন্ন লিসার। ভালোবাসা, হারানো, আর চিরবিদায়ের বেদনাময় গল্পে ব্ল্যাকপিঙ্ক খ্যাত তারকা লিসা যেন নতুন প্রজন্মের শীর্ষ কে-পপ আইডল থেকে অভিনেত্রী হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছেন। নিজের একক গান ড্রিম-এর জন্য নির্মিত নতুন শর্ট ফিল্ম মিউজিক ভিডিওতে তিনি হাজির হয়েছেন জাপানি অভিনেতা কেনতারো সাকাগুচির সঙ্গে, যা সংস্কৃতি ও ভাষার এক চমকপ্রদ মেলবন্ধন। গানটি ইংরেজিতে হলেও এতে কোরিয়ান গায়িকা, জাপানি অভিনেতা এবং কোরিয়ান সংলাপের সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে এক অনন্য আন্তর্জাতিক রসায়ন।
১৩ আগস্ট মুক্তি পাওয়া ৫ মিনিট ৮ সেকেন্ডের এই শর্ট ফিল্ম শুরু হয় কালো পোশাকে গম্ভীর মুখে চার্চে বসে থাকা লিসাকে দিয়ে। দৃশ্য বদলাতেই দেখা যায়, অভিনেতা কেনতারো শুয়ে আছেন কফিনে, আঙুলে তখনো তাদের দম্পতি আংটি।
এরপর গান বয়ে নিয়ে যায় দর্শককে টোকিওর সেই রাতে, যেদিন তাদের সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল। গাড়িতে একসঙ্গে ভ্রমণ ও হাসি ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাওয়া, আর আংটি বিনিময়ের সেই স্মৃতিগুলো ভেসে ওঠে পর্দায়। যাত্রা যেমন থামে, তেমনি থেমে যায় তাদের সুখের সময়ও। স্মৃতির ঝলকে ধরা পড়ে রান্নাঘরের এক মিষ্টি মুহূর্ত, যেখানে লিসা জানতে চান, ‘পরের জন্মে তুমি কী হতে চাও?’ প্রেমিক কিছু বলার আগেই লিসা নিজেই উত্তর দেন, ‘একটি গাছ।’ এরপর কেনতারো জবাব দেন, তিনি হবেন সেই হ্রদ, যা প্রতিফলিত করবে সেই গাছকে, যেখানে লিসা জন্মাবে। যা তাদের গভীর ভালোবাসার প্রতীক। কিন্তু মধুর সেই মুহূর্ত গুঁড়িয়ে দেয় নির্মম বাস্তবতা। গানের শেষ পর্যায়ে দেখা যায় একটি হ্রদে একা নৌকা বাইছেন লিসা, কারণ সে আর নেই। শর্ট ফিল্মের শেষ দৃশ্যে দেখা যায়, লিসা তার ছাই হ্রদে ছড়িয়ে দিচ্ছেন, আর পেছনে ভেসে আসছে শেষ সংলাপ—‘কমপক্ষে আমরা কি বন্ধু থাকতে পারি?’
এই আবেগঘন শর্ট ফিল্মে কেবল সংগীত নয়, ভিজ্যুয়াল ও গল্পের গভীরতায়ও প্রমাণ মিলেছে। লিসা কেবল কণ্ঠের জাদুকরী নন, তিনি এক অসাধারণ গল্পকারও।
মন্তব্য করুন