জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে নাশকতার অভিযোগে করা মামলায় ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ২৯ অক্টোবর থেকে শনিবার (১১ নভেম্বর) রাত পর্যন্ত ক্ষেতলাল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ১৫ জন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং ২ জন জামায়াতের সদস্য বলে জানা গেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ক্ষেতলাল পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাফিউল হাদী মিঠু, বড়তারা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ও বড়তারা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, বড়তারা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য শাহারুল ইসলাম, তুলসীগঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির ৩নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মওদুদ রানা, তুলশীগঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম মশিউর রহমান, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম।
এ ছাড়া পৌর বিএনপির সদস্য রুবেল সরদার, বড়তারা ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ডের বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাফফর রহমান, মামুদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নূরুননবী মন্ডল সাইফুল, তুলশীগঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির যুব দলের সদস্য হুমায়ুন কবির, তুলশীগঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য জিয়াউর রহমান, মামুদপুর ইউনিয়ন বিএনপির ৩নং ওয়ার্ডের সভাপতি ছানাউল ইসলাম কাজী, সহসভাপতি আশরাফুল ইসলাম, পৌর বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মামুনুর হাসান সুমন, বিএনপির সদস্য তালেবুর রহমান এবং উপজেলা জামায়াতের সূরা সদস্য মোস্তফা ও শহিদুল ইসলাম সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ক্ষেতলাল উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক খালেদুল মাসুদ আঞ্জুমান কালবেলাকে বলেন, বিএনপি করার জন্য আমাদের দলের নেতাকর্মীদের ধরপাকড় করা হচ্ছে। যারা ঢাকায় গিয়েছিল তারাও এই তালিকায় আছে। আমাদের কোনো নেতাকর্মী বাড়িতে থাকতে পারছে না। তাদের ইচ্ছামতো ধরে নিয়ে গিয়ে নাশকতার মামলা দিচ্ছে। অথচ এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
ক্ষেতলাল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন কালবেলাকে বলেন, নাশকতার অভিযোগে করা মামলায় গত ২৯ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ১৫ জন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং জামায়াতের ২ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ক্ষেতলাল থানার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন