ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের উত্তর তারাপাশা গ্রামের নিরীহ কৃষক শহিদুল আকন্দের ৩৮ শতাংশ জমির আধাপাকা ধান কেটে নিল প্রতিপক্ষের লোকজন। পাশাপাশি কৃষকের বাড়িঘর ভাঙচুর ও কলাবাগান কুপিয়ে তছনছ করে।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে একই গ্রামের কাছুম আলী আকন্দের পুত্র রুবেল মিয়া, কিরণ, রাসেল মিয়া, নজরুল ইসলাম ও ইসলাম মিয়ার পুত্র শেখ ফরিদ কৃষক শহিদুল আকন্দের ফসলি জমিতে প্রবেশ করে আধাপাকা ধান কেটে নিয়ে যায়। এ খবর পেয়ে শহিদুল আকন্দ তাদেরকে বাধা দেওয়ায় কৃষকের কলাবাগান তছনছসহ বাড়িঘরে হামলা চালায় ও কৃষককে হত্যার হুমকি দেয়। এরইমধ্যে প্রতিপক্ষরা ৩৮ শতাংশ জমির প্রায় ২০ শতাংশের পাকা ধান কেটে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে নিরীহ কৃষক শহিদুল আকন্দ বাদী হয়ে নান্দাইল মডেল থানায় উল্লিখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
শহিদুল আকন্দ বলেন, পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া আমার জমিতে জোরপূর্বকভাবে কাছুম আলীর পুত্ররা দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে বাধা দিলেই আমার বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে আমাদের মারধরসহ বাড়িঘর ভাঙচুর করে। এদের ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলতে চায় না।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মন্ডল বলেন, নিরীহ কৃষকের বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার সালিশ দরবারও হয়েছে। তবে প্রতিপক্ষ কাছুম আলী গংরা সালিশ দরবার মানে না।
নান্দাইল মডেল থানার ডিউটি অফিসার মো. আব্দুল কাদির জানান, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সরেজমিন তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অপরদিকে অভিযুক্ত কাছুম আলীর পুত্র রাসেল ও রুবেল মিয়ার কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, এটা আপনারা বুঝবেন না। আপনারা যা পারেন তাই করেন।
মন্তব্য করুন