কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌর শহরের কমলপুর গাছতলাঘাট এলাকায় ছোট ভাইয়ের হাতে বড় বোনের খুন হওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত মো. কাল্লু মিয়াকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
অভিযুক্ত ঘাতক কাল্লুকে রাতেই ভৈরব থানা পুলিশ গজারিয়া ইউনিয়নের মানিকদী গ্রাম থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ তথ্য নিশ্চিত করেন ভৈরব থানার ওসি মো. সফিকুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের ভৈরবপুর গাছতলাঘাট এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম আমেনা বেগম (৩৮)। তিন সন্তানের জননী। স্বামী নাঈম মিয়া প্রবাসে থাকেন। অভিযুক্ত মো. কাল্লু মিয়া (৩৫) ভৈরবপুর গাছতলাঘাট এলাকার মো. আব্দুল গফুর মিয়ার ছেলে। সে পেশায় ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী।
স্থানীয়রা জানান, আমেনা বেগম বাবার বাড়ির সম্পত্তি পাওয়ার পর একই বাড়িতে ঘর নির্মাণ করে বসবাস করতেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমেনা বেগমের সঙ্গে ছোট ভাই কাল্লু মিয়ার সামান্য বিষয় নিয়ে তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে বোনকেকে ধারালো ছুরি দিয়ে চোখ ও শরীরে আঘাত করে কাল্লু মিয়া। পরে স্থানীয়রা আমেনা বেগমকে উদ্ধার করে ভাগুলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে নরসিংদীতে তার মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠান।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ভৈরবপুর গাছতলাঘাট এলাকায় তুচ্ছ ঘটনায় বড় বোনকে তার ছোট ভাই ছুরি দিয়ে আঘাত করে। আহত অবস্থায় ঢাকা নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছি। ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত ভাইকে তার শ্বশুরবাড়ি মানিকদী থেকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন