তপশিল ঘোষণার পর থেকে বগুড়ায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ট্রাকে আগুন দেওয়াসহ কয়েকটি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ককটেল ফাটিয়ে পালাতে গেলে এক শিবির কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। শহর ও মহাসড়কে জোরদার করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের টহল।
এরইমধ্যে শহরের শেরপুর রোডে ঝটিকা মিছিল করে ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মীরা। পুলিশ তাদের ধাওয়া করলে ককটেল বিস্ফোরণ করে পালিয়ে যায়। মিছিল থেকে পালানোর সময় এক শিবির কর্মীকে আটক করে পুলিশ।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে শিবিরের নেতাকর্মীরা শহরের শেরপুর রোডে ইয়াকুবিয়া স্কুলের মোড় থেকে ঝটিকা মিছিল বের করে। মিছিলটি পিটিআই মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ ধাওয়া করে। এ সময় শিবির কর্মীরা বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। শিবিরের কয়েকজন কর্মী রহমান নগর এলাকায় ঢুকে পড়লে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মীরা তাদের ধাওয়া করে। এসময় রাকিব নামের একজনকে আটক করে পুলিশে দেয় তারা।
অন্যদিকে, বগুড়া-ঢাকা মহাসড়কে শহরতলীর ফুলদিঘীতে যুবদল মশাল মিছিল বের করে। এ সময় আবুল খায়ের কোম্পানির একটি খালি ট্রাকে আগুন দেয় তারা। এ ছাড়াও মহাসড়কের লিচুতলা এলাকায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। সেখানেও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। রাত সোয়া ৯টার দিকে এসপির বাসভবন লক্ষ্য করে ককটেল হামলা চালানো হয়।
এদিকে আতংকে রাত ৮ টার মধ্যে বগুড়া শহরের প্রধান সড়ক গুলোতে যানবাহন চলাচল কমে যায়। বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকান পাট বন্ধ হয়ে যায়। শহরে লোকজন কমতে থাকে সন্ধ্যার পর থেকেই। সবমিলিয়ে শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) স্নিগ্ধ আকতার বলেন, পরিস্থিতি মোকাবেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছে।
মন্তব্য করুন