টাঙ্গাইলে ঘারিন্দা স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা কমিউটার ট্রেনে আগুনের ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে রেল কতৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) ভোরে এ আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। কমিটির সদস্যরা হলেন পাকসী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকতা মো. আনোয়ার হোসেন, রেলওয়ে নিরাপত্তা বিভাগের কমান্ডেন্ট মো. মোরশেদ আলম ও ঢাকা বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী মো. রাসেল আলম।
এদিকে ট্রেনে আগুনের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের যাত্রী আবুল বলেন, ‘আমরা প্রায়ই এই ট্রেনে ঢাকা যাতায়াত করি। এরই ধারাবাহিকভাবে আজও এই ট্রেনে ঢাকা যাব বলে বাসা থেকে বের হয়েছি। স্টেশনে এসে দেখলাম আমাদের সেই ট্রেনটিতে রাতে দুবৃত্তরা আগুন দিয়েছিল। প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি, রেল বিভাগে যাতে কড়া নজরদারি থাকে।’
ঘারিন্দা স্টেশন মাস্টার নাজমুল হুদা বকুল বলেন, ‘রাতে কে বা কারা ট্রেনে আগুন ধরিয়েছে সেটা জানা যায়নি। এতে কমিউটার ট্রেনের দুটি বগি পুড়ে গেছে। এ ছাড়া আরও একটি বগি আংশিক পুড়েছে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভান।’
টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার ইনচার্জ মো. ইদ্রিস আলী বলেন, ‘টানা ২০ মিনিট ধরে তিনটি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।’
খবর পেয়ে সকালে রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
টাঙ্গাইল রেল পুলিশের ঘারিন্দা ফাড়ির ইর্নচাজ মো.আলী আকবর বলেন, ‘এ ব্যাপারে সিসিটিভির ফুটেজসহ নানা কিছু নজরদারি করা হচ্ছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।’
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, নাশকতার উদ্দেশ্যে কমিউটার ট্রেনটিতে আগুন দেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় রেলওয়ে পুলিশ মামলা দায়ের করবে। তারাও এ নিয়ে কাজ করছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে পাকশি বিভাগের মহাব্যবস্থাপক সাহ্ সুফি নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে এটি নাশকতা বলে মনে করছেন তারা। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে বিস্তাারিত জানা যাবে।’
মন্তব্য করুন