ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাবে পিরোজপুর জেলার ৭ টি উপজেলায় সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিসহ থমথমে আবহাওয়া বিরাজ করছে। জেলার কঁচা, বলেশ্বের, কালিগঙ্গাসহ বৃহৎ নদ-নদী গুলোতে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। ঝুঁকিতে রয়েছে নিন্মাঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাত ৯ টায় জেলা প্রশাসকের আয়োজনে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন, জেলার সাতটি উপজেলায় ৫৬১ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ মোকাবিলায় জেলা শহর সহ সাতটি উপজেলায় আটটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের কাছে ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা, ৪৬ বান্ডিল টিন, ৪১২ মেট্রিকটন চাল এবং ৫ হাজার ৬০০ কম্বল রয়েছে। এ ছাড়া জনগণের সেবার জন্য ৬৩ টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। অন্যদিকে দুর্যোগপূর্ব ও পরবর্তী মানুষের সেবা দিতে ১৭শ সিপিপি সদস্য ও সাড়ে ৩শ জন স্কাউট সদস্য কাজ করবেন। উপকূল এলাকার মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান আরও জানান, জেলার সবচেয়ে দুর্যোগপ্রবণ এলাকা মাঝেরচর ও খেতাছিড়া এলাকায় মানুষের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ (ক্রাইম এন্ড অপস্) মো. মুকিত হাসান খান জানান, দুর্যোগ মোকাবিলায় পুলিশকে কাজ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগকালীন সময়ে সাধারণ মানুষকে সেবা দিতে পুলিশ প্রস্তুত আছে।
মন্তব্য করুন