সাবেক এমপি আওয়ামী লীগ নেতা হাজী রহিম উল্যাহ ও তার স্ত্রী পারভিন আক্তার ফেনী-৩ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দলের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। তারা দুজনেই দল থেকে মনোনয়ন পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন।
নির্বাচনকে সামনে রেখে হাজি রহিম উল্যাহ ও পারভিন আক্তার নানামুখী প্রচার চালাচ্ছেন। এমনকি তারা গত কয়েক মাস ধরে নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। দলীয় মনোনয়ন ফরম কেনার পর অব্যাহত রেখেছেন গণসংযোগ। নির্বাচনী শোডাউন, উঠান বৈঠক, গণসংযোগ করার পাশাপাশি ব্যানার, পোস্টার ও উন্নয়নের লিফলেটও বিতরণ করছেন। ইতিমধ্যে তারা দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করার পর জমা দিয়েছেন।
ফেনী-৩ (সোনাগাজী-দাগনভুঞা) আসনে হাজী রহিম উল্যাহ ও তার স্ত্রী পারভিন আক্তার ছাড়াও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন সোনাগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য আবুল বাশার, সোনাগাজী পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকন, দাগনভুঞা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সহসম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুল আনাম, অভিনেত্রী শমি কায়সার, অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক জিএস আজিম উদ্দিন, জাপান আওয়ামী লীগ নেতা সামছুল আলম ভুট্টু, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন।
মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে হাজী রহিম উল্যাহ বলেন, আমি এই আসনে এমপি থাকাকালীন এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির প্রার্থীর সমর্থনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি না থাকার কারণে নেতাকর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাই এবার নেতাকর্মীদের অনুরোধে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি যেখানেই যাচ্ছি সেখানেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা তুলে ধরছি। শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করছি। আমি মনোনয়ন পেলে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আমার এলাকার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাব।
পারভিন আক্তার বলেন, স্বামীর সাথে আমি দীর্ঘ সময় সৌদি আরব ছিলাম। ওই সময় জেদ্দা মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। দেশে ফিরে গত ১০ বছর ধরে পর্দার আড়ালে থেকে দলের জন্য কাজ করছি। দেশের সব ক্ষেত্রে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। তাই নির্বাচনী এলাকার মানুষের জন্য কাজ করতে এবার প্রকাশ্যে এসে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
মন্তব্য করুন