কুমিল্লার লালমাই পাহাড়ে কালির বাজার সংলগ্ন হাতিগাড়া এলাকা থেকে মেহেদী হাসান (১৩) নামের এক অটোরিকশাচালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মেহেদী বরুড়া উপজেলার খোশবাস উত্তর ইউনিয়নের বাশঁতলী নোয়াবাড়ির মো. কাসেমের ছেলে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত একই ইউনিয়নের ইলাশপুর গ্রামের নজির মিয়ার ছেলে নাজমুল হোসেনকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরুড়া থানার ওসি মো. ফিরোজ হোসেন।
জানা গেছে, গত ১৯ নভেম্বর সকালে মেহেদী হাসান অটোরিকশা নিয়ে তার বাড়ি থেকে বের হয়। ইলাশপুর চেয়ারম্যান মার্কেটের সামনে এলে নাজমুল হোসেন পাশের আদর্শ সদর উপজেলার কালির বাজার যাওয়ার জন্য ভাড়া নেন। কালির বাজার গিয়ে চালক মেহেদীকে বলেন, পাশের লালমাই পাহাড়ের হাতিগাড়া কবরস্থানের উত্তর পাশে চারা গাছ আছে, সেগুলো নেব। নাজমুল ও মেহেদী একে অপরের পরিচিত হওয়ায় যেতে রাজি হয়। ঝোপের ভেতর নিয়ে নাজমুল প্রথমে মেহেদীর পেটে দুটি আঘাত করেন। সে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তার গলা কেটে হত্যা করেন বলে অভিযোগ ওঠে।
মেহেদীর মৃত্যু নিশ্চিত হলে তার অটোরিকশা নিয়ে নাজমুল তার শ্বশুরবাড়ি দাউদকান্দি থানাধীন গৌরিপুর চলে যান। বাড়িতে ফেরত না আসায় মেহেদীর বাবা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন নাজমুল তার ছেলে মেহেদীর অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে গেছেন। যাওয়ার পর থেকে কেউ আর তাকে দেখেনি। থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ নাজমুলকে দাউদকান্দির গৌরিপুরে শ্বশুরবাড়ি থেকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ঘটনার বিস্তারিত স্বীকার করেন। পরে সোমবার (২০ নভেম্বর) রাত ২টার দিকে লালমাই পাহাড়ের হাতিগাড়া কবরস্থান থেকে মেহেদীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
বরুড়া থানার ওসি মো. ফিরোজ হোসেন বলেন, ‘আমরা অভিযোগ পেয়ে নাজমুলকে আটক করি৷ প্রথমে তিনি নানা ধরনের ভুয়া তথ্য দেন। আমরা সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখি তিনি একাই মেহেদীকে নিয়ে গেছেন। পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদে তিনি সব স্বীকার করেন। তার তথ্যমতে, আমরা রাত প্রায় ২টার দিকে লাশ উদ্ধার করি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
মন্তব্য করুন