দরজায় কড়া নাড়ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এদিকে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন নড়াইল-২ (লোহাগড়া-নড়াইল সদর) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা।
মঙ্গলবার (২১) নভেম্বর) পর্যন্ত একই আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের আরও ২২ জন প্রার্থী। এই আসনে প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মাশরাফি বিন মর্তুজার নির্বাচনী নড়াইল-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের ২২ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী। এখন অপেক্ষার পালা কে পাচ্ছেন আওয়ামী লীগের দলীয় টিকেট।
এই আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ২২ জন প্রার্থী হলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মাশরাফি বিন মুর্তজা, নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এস এম আসিফুর রহমান বাপ্পী, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ আইয়ুব আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজামুদ্দিন খান নিলু, জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক বুয়েটে প্রকৌশলী লে. কমান্ডার (অব.) এ এম আব্দুল্লাহ, সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু, মো. রাশেদুল বাসার ডলার, মলয় কুমার কুন্ডু, লায়ন নুর ইসলাম, আ্যডভোকেট মো. তরিকুল ইসলাম, মো. হাবিবুর রহমান তাপস, পি কে পলাশ হাজরা, কাজী জাহিদুর রহমান, মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন কনক, মোহাম্মদ মনির হোসেন, মুন্সি মো. নজরুল ইসলাম, শামীমা সুলতানা, ফারহানা রেজা, বরুণ গাঙ্গুলি, ব্যারিস্টার আল আমীন রহমান, মো. হাসানুজ্জামান ও ড. কে এম সালাহউদ্দিন।
এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। সোমবার (২০ নভেম্বর) সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে তার পক্ষে ফরম সংগ্রহ করেন নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ্যডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস।
তারা সকলেই দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী। তবে দল যাকে মনোনয়ন দিবে তার পক্ষেই কাজ করবেন বলে সকলেই জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ্যডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস কালবেলাকে বলেন, আমি মনোনয়ন সম্পর্কে জানি যারা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন তাদের মধ্যে অনেকেই ঢাকায় থাকেন, নড়াইলে থাকে না। আওয়ামী লীগ একটা বড় রাজনৈতিক দল। যারা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন তারাও আওয়ামী লীগ করেন। আমার অভিব্যক্তি হলো, যারা নমিনেশনপত্র সংগ্রহ করেছেন তাদের মধ্যে অনেকেই ঢাকায় থাকেন। তাদের সাথে ঢাকার রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ততা আছে কি না সে বিষয়েও আমার জানা নাই। আমার নড়াইলে মিছিল-মিটিং কোনো কিছুর সাথে তাদের মধ্যে অনেকেরই সম্পর্ক নাই। তাদের মধ্যে অনেকের দলীয় সদস্য পদ আছে, অনেকের নাই। দলীয় মনোনয়ন ফরম সকলেই কিনতে পারে, যেহেতু মনোনয়নের ব্যাপার সকলেরই আশা আকাঙ্খা থাকতে পারে। আশা রাখা তাদেরই উচিত যারা দলের সাথে সম্পর্ক রাখে এবং যারা মাটি মানুষের সাথে কাজ করে। দলীয় মিছিল-মিটিংয়ে থাকবে এবং বিভিন্ন জাতীয় দিবসগুলো পালন করবে। এদের মধ্যে অনেকেই আছে তারা কোনকিছুর সাথে সম্পৃক্ততা রাখে না। যারা কেন্দ্রীয় কমিটিতে আছেন এবং যারা নির্বাচন কমিটিতে আছেন তারা অনেক জ্ঞানী, অভিজ্ঞ ও মেধাবী তারা জানেন কারা দলের জন্য কাজ করেন ও দলের সাথে সম্পর্ক রাখেন। আমার মনে হয় দল সেই রাজনৈতিক বুদ্ধি বিবেচনা দিয়েই নড়াইল-২ আসনে যোগ্য ব্যক্তিকে নমিনেশন দিবেন।
আওয়ামী লীগের প্রবীণ এই নেতা আরও বলেন, নমিনেশন যে কেউ নিতে পারে এতে নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের মাঝে কোনো ধরনের প্রভাব পড়বে না।
মন্তব্য করুন