শীতের সবজি বাজারে আসায় কমেছে সব ধরনের সবজির দাম। উত্তরের জেলা দিনাজপুরে আগাম শীত পড়ে। এ জেলার খানসামা উপজেলা সবজি উৎপাদনে সেরা। কৃষি নির্ভর এ উপজেলায় কিছুদিন আগেও সবজির দাম ছিল লাগামহীন। চাহিদা মতো সবজি কিনতে পারতেন না ক্রেতারা। বাজারে ক্রেতার সংখ্যাও কমে গিয়েছিল। তবে এখন স্বস্তি ফিরেছে সবজির বাজারে। দাম কমায় ক্রেতারা স্বাচ্ছন্দ্য মতো সবজি কিনতে পেরে খুশি।
উপজেলার সবজির বাজারগুলোতে দেখা গেছে, শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেড়েছে। ক্রেতাদের ভিড়ও বেড়েছে আগের তুলনায়।
তবে চাষিদের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। শীত পড়াতে সবজি উৎপাদন বেড়েছে, কিন্তু হরতাল-অবরোধের কারণে সবজি ঠিকমতো রাজধানী ঢাকায় পাঠাতে পারছেন না। ফলে স্থানীয় বাজারে কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে লোকসান গুনতে হবে এমনটাই আশঙ্কা তাদের।
বিক্রিতারা জানায়, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, মূলা ১০ টাকা, পেঁয়াজ ৮৫ টাকা, আলু ৫০ টাকা, পুঁইশাক ২০ টাকা, শিম ৩০ টাকা, বেগুন (গোল) ২৫ টাকা, বেগুন (লম্বা) ২০ টাকা, ফুলকপি ও বাধাকপি ৩০ টাকা, শসা ২৫, কায়তা ২০, বরবটি ৩০, প্রতিটি লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ও পেঁপের কেজি ২০ টাকা।
খানসামা বাজারে সবজি কিনতে আসা ইমরান বলেন, কিছুদিন আগে তো সোনার মতোই দাম ছিল এসব সবজির। যাক এখন অনেকটাই কমে গেছে। আরেকটু কমলে ভালো হয়।
সবজি চাষি ময়নাল আলী বলেন, সবজির দাম কমেছে কিন্তু অবরোধ ও হরতালের কারণে আমরা ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করতে পারছি না। বর্তমানে সার, শ্রমিক খরচসহ সব জিনিসের দাম বেশি। সবজি চাষে আগের থেকে খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ। যে দামে সবজি বিক্রি করছি, এমন দাম থাকলে লোকসান গুনতে হবে।
খানসামা বাজারের বিক্রেতা শাহীন বলেন, আমরা প্রতি কেজি সবজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা লাভ করি। শীতকালে সবজির দাম অনেকটাই কম থাকে তাই মোটামুটি কাস্টমার বেশি। পাইকারি বাজারে প্রতিটি সবজির দাম কম হওয়ায় কম দামে বিক্রি করছি।
খানসামা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইয়াসমিন আক্তার বলেন, সবজি বাজারে ক্রেতাদের যে অস্বস্তি ছিল তা এখন আর নেই। সবজির উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে, দামও কমেছে। আর চাষিরাও তাদের ন্যায্য মূল্যে সবজি বিক্রি করতে পারবেন।
মন্তব্য করুন