তারিকুল ইসলাম, শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১১:০৬ এএম
অনলাইন সংস্করণ

৩০ শয্যার শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি ২০০, করিডোরও যেন ওয়ার্ড!

শেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের রোগীর চাপ বেড়েছে। ছবি : কালবেলা
শেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের রোগীর চাপ বেড়েছে। ছবি : কালবেলা

শেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের আন্তঃবিভাগে ৩০ শয্যার শিশু ওয়ার্ডের বিপরীতে রোগী ভর্তি আছে ২ শতাধিক। পঞ্চম তলায় শিশু ওয়ার্ডের বেডে জায়গা না হওয়ায় সমস্ত ওয়ার্ডের বারান্দায় শয্যা পেতে চলছে শিশুদের চিকিৎসা। মাত্র একজন শিশু ডাক্তার দিয়ে এত রোগীর চিকিৎসা দিতে হিমসিম খাচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

শীতের শুরুতে শিশুদের নিউমোনিয়া, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া ও জ্বরসহ ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ কিছুটা বেড়াতেই এই অবস্থা। তবে জেলা স্বাস্থ বিভাগের পক্ষ থেকে উপজেলা হাসপাতালের দুজন ডাক্তারকে দুই দিন করে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে চালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলেও সেটা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। তবে রোগীদের মাঝে চিকিৎসাসেবা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, শিশু ওয়ার্ডের শয্যাগুলোর একটিও ফাঁকা নেই। কোনো কোনো শয্যায় একাধিক শিশুকে রেখে চিকিৎসা চলছে। শয্যা সংকুলান না হওয়ায় বেশির ভাগ শিশুকে মেঝেতে শুইয়ে রেখে স্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। এমনকি বেঞ্চে শুইয়েও কেউ কেউ চিকিৎসা নিচ্ছে। তবে কিছু কিছু রোগীর স্বজনের দাবি, যেহেতু রোগগুলো বেশির ভাগই ঠান্ডাজনিত। তবে মেঝেতে শুইয়ে রাখলে শিশুদের ঠান্ডায় কষ্ট বেশি হয়।

শিশু বিভাগের চিকিৎসক ডা. কোহিনুর জাহান শ্যামলী জানান, আবহাওয়ার কারণে শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ২ থেকে ৩ মাস বয়সী শিশুরা নিউমোনিয়া ও ৬ মাস থেকে দেড় বছর বয়সের শিশুদের ব্রঙ্কাইটিস রোগ হচ্ছে। এ ছাড়া ঠান্ডাজনিত জ্বর, টাইফয়েড ও প্রস্রাবের সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছে। শিশু ওয়ার্ডের স্টাফ নার্স ছাড়াও স্টুডেন্ট নার্স ও ম্যাটসের ইন্টার্নরত সদস্যরা আমাদের সহযোগিতা করলেও হিমসিম খেতে হচ্ছে। তবে আমরা সীমিত জনবল নিয়ে সর্ব্বোচ্চ আন্তরিকতার সাথে সেবা দিয়ে যাচ্ছি।

সদর উপজেলার ভিমগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রফিক তার শিশু বাচ্চাকে নিয়ে চেয়ারের উপর বসে আছে। বারান্দায় বসার মতো জায়গা পর্যন্ত নেই। তবে তিনি ডাক্তারদের আন্তরিকতার কথা স্বীকার করে বলেন, চিকিৎসা ঠিক আছে কিন্তু মেঝেতেও জায়গা নেই। আমি এখন কী করব। তার দাবি প্রয়োজনে শিশু ইউনিট বড় করা হোক।

এ ব্যাপারে শেরপুর সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্রাচার্য বলেন, সদর হাসপাতালের চিকিৎসার ওপর মানুষের আস্থা বেশি থাকায় সবাই এখানে আসে। রোগী প্রতিনিয়তই বেশি থাকে। তবে জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়া আমাদের হাতে নেই। আমরা সীমিত জনবল দিয়ে সর্ব্বোচ্চ চেষ্টা করছি। এ ছাড়াও শিশুদের যেন শীতকালীন রোগ না হয় সে ব্যাপারে অভিভাবকদের সাবধান হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বনাঞ্চল উজাড় করে মাছের ঘের

সরকার-নির্বাচন কমিশন চাইলে আ.লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারে : মঈন খান

শঙ্খের ভাঙনে বিলীন ধানি জমি, আতঙ্কে উপকূলবাসীরা

টোকিওর হোটেলগুলোকে সতর্ক থাকার নির্দেশ

পাক-ভারত উত্তেজনায় আইপিএল স্থগিত

গাছের ‘তেলে’ দৌড়াল ইঞ্জিন

আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মঞ্চে জড়ো হচ্ছেন আন্দোলনকারীরা

ক্ষেপণাস্ত্র চালাল উত্তর কোরিয়া

জবি ম্যাথ ক্লাবের দায়িত্বে সিফাত ও নয়ন  

পরোয়ানা নিয়ে সাজেদুলের বাড়ি যাওয়া এসআই প্রত্যাহার

১০

যুদ্ধ পাকিস্তান শুরু করেছে দাবি শেবাগের

১১

যমুনার চরে ফসলের বিপ্লব

১২

স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা এখন জিয়া মঞ্চের গুরুত্বপূর্ণ পদে

১৩

রাশিয়ার ‘শ্যাডো ফ্লিটে’ খেপেছে যুক্তরাজ্য

১৪

৩০ ভারতীয় কামিকাজে ড্রোন ভূপাতিত, নিহত ২

১৫

বোমা আতঙ্কে কাঁপছিলেন আইপিএল চিয়ারলিডার, ভিডিও ভাইরাল

১৬

ছুটির দিনেও ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’ 

১৭

ভয়ে ভারত ছাড়তে চাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা

১৮

পাকিস্তান থেকে সরিয়ে নেওয়া হলো পিএসএল

১৯

আইভীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ

২০
X