ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে এবার কার্তিকের শেষে অগ্রহায়ণের শুরুতে আগাম শীতের হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করেছে। দিনের বেলায় এর প্রভাব বোঝা না গেলে ও সন্ধ্যা নামতেই মনে হয় শীতের কবলে পড়েছে মানুষ। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়েছে শীতের সন্ধাকালীন ভাপা-পুলি পিঠা ও হাঁস-মুরগির ডিম বিক্রিসহ শীতের বিভিন্ন পিঠার দোকানিরা।
দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলেই দোকানিরা তাদের দোকান নিয়ে হাটে বাজারে পাকা রাস্তার ধারে, কাঁচা-পাকা রাস্তার মোড়ে অস্থায়ীভাবে বসে। সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দোকানগুলো খোলা রাখে এতে বেশ জমে উঠে তাদের দোকান। মানুষও খাওয়ার জন্য ভিড় জমায় এসব দোকানে। বসার জায়গা না থাকলে ও দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আনন্দে আর উল্লাসের মধ্যে সময় কাটিয়ে খেয়ে দেয়ে বাড়ি ফিরে। আবার কেউ কেউ নতুন বধূ ও ছেলেমেয়ে এবং বৃদ্ধা বাবা-মায়ের জন্য কিনে নিয়ে যায়।
এসব দোকানিদের একজন উপজেলার ধীরগঞ্জ গ্রামের মাহাবুব। ভাপা-পুলি পিঠার দোকান করেই চলে এই দিনমজুরের সংসার।
সরেজমিনে মাহাবুবের অস্থায়ী পিঠাপুলির দোকানে দেখা যায়, অনেক মানুষ জটলা পাকিয়ে বসে পিঠাপুলি খাচ্ছেন। খোশ গল্পও করছেন কেউ কেউ। এদিকে আপন তালে পিঠা বানাচ্ছেন দিনমজুর মাহাবুব।
উপজেলা ধীরগঞ্জ বাজারের দোকানি মাহাবুব জানায়, প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সে দোকানে এ সকল খাওয়ার জিনিস বিক্রয় করে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা এতে তার আয় ভালো হয় এবং সংসারও ভালো চলে।
মন্তব্য করুন