বরগুনার তালতলীতে কাজে আসছে না নবনির্মিত উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি কার্যালয়। ৩ বছর আগে নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলেও রহস্যজনক কারণে কার্যক্রম চালু না হওয়ায় মূল্যবান আসবাবপত্র নষ্ট হচ্ছে। এতে নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন সেবাগ্রহীতারা।
জেলা গণপূর্ত প্রকৌশলী কার্যালয় থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালে তালতলী উপজেলার মমেসে পাড়া এলাকায় উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি ভবন নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। ২ কোটি ৮৯ লাখ ৫৪ হাজার টাকা ব্যয়ে ভবনটি নির্মাণ করেছেন দুটি জয়েন্ট বেঞ্চ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। মেসার্স আমির ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন ও এম এম বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মমেসে পাড়া এলাকায় নির্মাণ করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন সাব-রেজিস্ট্রি অফিস। নতুন আসবাবপত্র, রেজিস্ট্রার কার্যালয়, রেজিস্ট্রারের খাস কামরা, দলিল লেখকদের বসার স্থান, রেকর্ড রুমসহ সব ব্যবস্থা থাকলেও এখানে নেই প্রাণচাঞ্চল্য। ভবনটি চালু না হওয়ায় ময়লা আর অযত্নে নষ্ট হচ্ছে আসবাবপত্র, ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি।
স্থানীয়রা বলেন, প্রায় ৩ বছর আগে নির্মাণ হওয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসটি কার্যক্রম না থাকায় সেবা গ্রহীতারা পড়েছেন ভোগান্তিতে। বিকল্প প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরের আমতলী সাব রেজিস্ট্রি অফিস। প্রধানমন্ত্রী তালতলীবসীকে ভালোবেসে এই সাব-রেজিস্ট্রি অফিস দিয়েছেন। দ্রুত এই অফিসের কার্যক্রম চালু করার দাবিও জানান তারা।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিক বনি আমিন জানান, বিদ্যুৎ সংযোগ জটিলতার কারণে ভবনটি হস্তান্তর করা করা হয়নি। তবে আমি হস্তান্তর দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। এই জটিলতার কারণেই কার্যক্রম বন্ধ আছে বলেও জানান তিনি।
তালতলী উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, ২০১২ সালে উপজেলার ২৪টি দপ্তর গেজেটভুক্ত হয়। সেখানে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে গেজেটের আওতায় ছিল না। যার কারণে এই কার্যক্রমে আমরা একটু পিছিয়ে পড়েছি। তবে তিনি সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলে দ্রুত এই কার্যক্রম চালু করার ব্যবস্থার আশ্বাস দেন।
বরগুনা গণপূর্ত নির্বাহী প্রকৌশলী সুব্রত বিশ্বাস বলেন, কাগজ-কলমে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের কোনো অস্তিত্ব নেই, যার কারণে জনবল নিয়োগসহ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চালু হচ্ছে না।
মন্তব্য করুন