বহির্বিশ্বে স্ট্যাচু হয়ে দাঁড়িয়ে খেলা দেখানো লোকগুলো সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে চাঁদপুরের আল আমিনের মনে জায়গা করে নেয়। তখন নিজের পরিচিতি পেতে ভাইরাল হওয়ার নেশায় নিজেই শরীরে রং মেখে সং সেজে নানা স্থানে তিনি স্ট্যাচু হয়ে দাঁড়িয়ে যান। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) তাকে চাঁদপুর শহরের শপথ চত্বর মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
জানা যায়, স্ট্যাচু হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা এই রসিক ছেলে আল আমিনের বাড়ি বাগেরহাটে। ১৯৯৭ সালে শাহজাহান শেখ ও মনোয়ারা বেগমের সংসারে জন্ম তার। অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় আর্থিক স্বচ্ছলতা পেতে চাঁদপুরে এসে টাইলসের মিস্ত্রি হিসেবে তিনি মনোনিবেশ করেন। তার নানা বাড়ি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের সাহেবগঞ্জ গ্রামে হওয়ার সুবাদে মা ও ছোটবোনের সাথে এখানে বেড়ে উঠেন আট বছর বয়স থেকেই। যদিও বর্তমানে আল আমিন শহরের ক্লাব রোডে ভাড়া বাসায় থাকেন।
আল আমিন বলেন, এক কালারের পোশাক পরে স্ট্যাচু হয়ে দাঁড়িয়ে থাকায় মানুষ আমার সাথে সেলফি তুললে আমি মজা পাই। এতে সহজে ভাইরাল হতে পারছি এবং পরিচিতি পাচ্ছি। লোকজন আমাকে এখন গোল্ডেন বয় বা সেল্ফি ম্যান নামে ডাকতে শুরু করেছেন। অনেকে আমার সাথে ছবি তুলে কিছু টাকা পয়সা খুশি হয়ে দেয়, যা দিয়ে আমার নিজের চলার মতো অর্থ উপার্জন করছি।
তিনি বলেন, টাইলস কাজে টাকা পেলেও সম্মান কম। তবে এখন আমি বেশ আলোচিত হচ্ছি। সাংবাদিকরাও আমার সাক্ষাৎকার নেন। এতে নিজেকে অনেকটা সেলিব্রিটি মনে হয়। তাই এখন খালি হাতে স্ট্যাচু হয়ে না দাঁড়িয়ে হাতে নানারকম সামাজিক সচেতনতামূলক ব্যানার নিয়ে স্ট্যাচু হয়ে দাঁড়াচ্ছি। মূলত শপথ চত্বরের জয়বাংলা মোড় ও বড় স্টেশনসহ জনসমাগম এলাকায় আমি বেশি বিচরণ করি। আমার সামান্য কাজে যা আয় হয় তা দিয়ে ছোটবোন মুক্তাকে মাধ্যমিকে পড়ার কাজে সহায়তা করি।
আল আমিন আরও বলেন, আমি এখন সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে চলাচল বিষয়ে সতর্কতামূলক প্রচারণায় স্ট্যাচু হয়ে করছি। নিজে বিনোদন দেওয়ার পাশাপাশি অনলাইনে পেজ ও ইউটিউবে অ্যাকাউন্ট খুলে নিজের ভিডিও আপলোড করেও আয়ের চেষ্টা করছি। একটা ক্যামেরা কিনতে চাই। সবার সহযোগিতা পেলে আমি সফল হতে পারব।
মন্তব্য করুন