বগুড়ার মহাস্থানে হজরত শাহ সুলতান মাহমুদ বলখী (রহ.) মাজারের সিন্দুকের (দানবাক্স) টাকা গণনা সম্পন্ন হয়েছে। দুদিনব্যাপী টাকা গণনা শেষে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৩ লাখ ৮২ হাজার ২৯৬ টাকা। মাজার এলাকায় থাকা ৯টি সিন্দুক থেকে এই টাকা পাওয়া যায়। টাকা ছাড়াও স্বর্ণালংকার ও বৈদেশিক মুদ্রাও পাওয়া গেছে সিন্দুকগুলোতে।
মহাস্থান মাজার কমিটির সভাপতি বগুড়া জেলা প্রশাসকের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদমান আকিবের তত্ত্বাবধানে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) থেকে শুরু বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল পর্যন্ত সিন্দুক খুলে টাকা গণনা করা হয়। প্রথমদিন ৯টি সিন্দুকের মধ্যে ছোট আকৃতির ৭টি সিন্দুক খোলা হয়। গণনা শেষে এই ৭টি সিন্দুকে ৮ লাখ ২৪ হাজার ৬১৫ টাকা পাওয়া যায়। দ্বিতীয় দিন খোলা হয় বড় দুটি সিন্দুক। সেখানে মেলে ১৫ লাখ ৫৭ হাজার ৬৮১ টাকা।
মহাস্থান উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি অগ্রণী ব্যাংক মহাস্থান শাখার ১২ জন কর্মকর্তা এবং মাজারে কর্মরত ১০ জন কর্মচারী টাকা গণনার কাজে অংশ নেন। এ সময় মাজার কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। সিন্দুক খুলে সেখানে ১৮টি স্বর্ণের নাকফুল ছাড়াও কিছু স্বর্ণালঙ্কার ও বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া গেছে।
মহাস্থান মাজারের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান জানান, মাজার কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিন মাস পর পর সিন্দুকগুলো খোলার কথা থাকলেও এবার সিন্দুক খোলা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ মাস পর। সর্বশেষ গত ১৬ জুলাই সিন্দুকগুলো খুলে দুদিনব্যাপী গণনা শেষে ৩৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকা পাওয়া গিয়েছিল। এর আগে গত মার্চ মাসে সিন্দুক খুলে পাওয়া যায় ২৮ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। এসব টাকা অগ্রণী ব্যাংক মহাস্থান শাখায় জমা করা হয়। মাজারের উন্নয়নে এই টাকা ব্যয় করা হয় বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আগে মহাস্থান মাজারের দানবাক্সে টাকা দিতে বাসস্ট্যান্ডে গাড়ির গতি কমানো হতো। মহাসড়ক উন্নয়নের ফলে এখন সেখানে ওভারপাস নির্মিত হওয়ায় দানের পরিমাণ কমেছে। কারণ ওভারপাস দিয়ে অতিক্রম করা পরিবহনের যাত্রীরা ইচ্ছা থাকলেও মাজারে কোনো দান করতে পারছেন না।’
মন্তব্য করুন