ফেনীতে হঠাৎ করেই শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় গরম কাপড়ের দোকানে ক্রেতাদের ভিড়। বৈরী আবহাওয়ায় হঠাৎ করেই বেড়েছে শীতের তীব্রতা। গরম কাপড়ের চাহিদা বাড়ায় দোকানে বেড়েছে ক্রেতাদের ভিড়। ব্যস্ত সময় পার করছেন দোকানিরা। শীতের গরম কাপড় কিনতে সাধ্যের মধ্যে ক্রেতারা ছুটছেন ফেনী শহরের ব্যস্ততম মাকের্ট শহীদ হোসেন উদ্দিন বিপণিবিতানসহ শপিংমলের বিভিন্ন বিপণিবিতান, রাজাঝিরদীঘির পাড় ও শহরে ফুটপাতের দোকানগুলোতে। এ বছর শুরুতে শীতের প্রকোপ কিছুটা কম থাকলেও গত ২ থেকে ৩ দিনে বেড়েছে শীত। তবে শীত যত বাড়বে বেচাকেনা তত জমজমাট হবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বলা যায়, উত্তরের জেলায় এখন পুরোদমে শীতের আমেজ বিরাজ করছে। শীত পড়ায় গরম কাপড়ের চাহিদা বেড়েছে। শহরের আভিজাত্য শহীদ হোসেন উদ্দিন বিপনী বিতান, আলী আহম্মদ টাওয়ার, ফেনী সেন্টার, গ্র্যান্ড হক টাওয়ার, জুম্মা শপিং সেন্টার, তমিজিয়া শপিং কমপ্লেক্স, জহিরিয়া টাওয়ার, এফ রহমান এসি মার্কেট, মহিপাল প্লাজা গ্রিন টাওয়ার, ফেনী প্লাজা, ফেনী গার্ডেন সিটি, আপ্যায়ন আফরোজ টাওয়ার, রোকেয়া শপিং সেন্টার, সওদাগরপট্টিসহ শহরের বিভিন্ন মার্কেটে এখন ক্রেতাদের ভীড়। কয়েকটি শপিংমলগুলোতে বিভিন্ন গরম কাপড়ে পসরা দিয়ে সাজানো হয়েছে। এসব দোকানে গোলগলা ও হাই গলার গেঞ্জি, হুডি, সোয়েটার, মাফলার, জ্যাকেট, ব্লেজার, কাটিগানসহ অন্যান্য গরম পোশাক এক হাজার টাকা থেকে শুরু করে ছয় হাজার টাকা পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে। বাচ্চাদের পোশাক দেড় হাজার থেকে দুই হাজার টাকা, জ্যাকেট তিন হাজার ছয় হাজার টাকা এবং ব্লেজার দুই হাজার থেকে সাত হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। দরদাম করে কিনছেন ক্রেতারা। অনেকে তাদের পছন্দের পোশাক পেয়েও যাচ্ছেন। শীত মৌসুমে শীতের পোশাকের ভালো বাণিজ্যের আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা জানান, জেলায় এ বছর শীত কিছুটা দেরিতে পড়ছে। শীতকে কেন্দ্র করে ক্রেতাদের নজর কাড়তে বিভিন্ন ধরনের গরম কাপড় দিয়ে দোকানগুলো সাজানো হয়েছে। হঠাৎ করে শীত বাড়ায় বেচাকেনা বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর কাপড়ের দাম বাড়ায় বাড়তি দামে কিনতে হয়েছে। তাই বিক্রিও করতে হচ্ছে বাড়তি দামে। এদিকে শীতে গরম কাপড় কিনতে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা ছুটছেন শহরের রাজাঝির দীঘির পাড়সহ ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানে। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলছে বেচাকেনা। সাধ্যের মধ্যে শিশুদের শীতের পোশাক পেয়ে যাচ্ছেন। যেখানে ১০০-৪০০ টাকা মধ্যে বাচ্চাদের জন্য মোটা পায়জামা, হাইগলার গেঞ্জি ও টপস পাওয়া যাচ্ছে। দাম বেশি হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ক্রোতারা। তবে বেচাকেনা ভালো বলে জানান ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা।
শহরের ভিতরের বাজারের ফুটপাতের পোশাকের এক দোকানি বলেন, গত দুদিন থেকে বেচাকেনা বেড়েছে। প্রতিদিন ৪-৬ হাজার টাকা বেচাকেনা হচ্ছে। সাধ্যের মধ্যে বাচ্চাদের জন্য ১০০-৪০০ টাকার মধ্যে শীতের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে।
ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, শীত মৌসুমকে কেন্দ্র করে এক মাস আগে বিভিন্ন ধরণের পোশাক কেনা হয়েছে। গত বেচাবিক্রি ভালো হচ্ছে। হঠাৎ শীত পড়ায় দুশ্চিন্তা কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পেরেছি। ব্যবসায়ীরা মালামাল কিনতে আসছে। তবে এ বছর জিনিসপত্রের দাম কিছুটা বেশি।
ফেনী শহরের বস্ত্র মালিক সমিতির কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম ভূঞা বলেন, জেলা শহরে প্রায় দুই শতাধিক পোশাকের দোকান রয়েছে। এ বছর দেরিতে শীত পড়েছে। শুরুতে শীত কম থাকায় ব্যবসায়ীরা দুশ্চিন্তায় ছিলেন। তবে শীতের আমেজ পড়তে শুরু করায় বেড়েছে বেচাকেনা। প্রতিদিন প্রতিটি দোকানে আশানুরূপ বেচাকেনা হচ্ছে। তবে শীত বাড়লে বেচাকেনা আরও বাড়বে বলে জানান ব্যবসায়ী এ নেতা।
মন্তব্য করুন