এবার শীত মৌসুমে রংপুরে খুব একটা শীত অনুভবন করেনি এ জেলার মানুষ। কিন্তু পৌষ শুরুর আগে হঠাৎ ঘনকুয়াশায় ঢেকে গেছে পুরো রংপুর। এতে করে কষ্ট বেড়ে গেছে ছিন্নমূল মানুষজনের। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। আবহাওয়া অফিস বলছে, এই অবস্থা বাড়বে। এদিকে, জরুরি ভিত্তিতে ২৫ হাজার কম্বল চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছে জেলা প্রশাসন। সরেজমিনে দেখা গেছে, রোববার বিকাল থেকেই ঘনকুয়াশা পড়তে থাকে। রাত যতই গভীর হচ্ছিল, কুয়াশা ততই ঘন হচ্ছিল। কুয়াশা এত ঘন ছিল, যেন বৃষ্টির ফোঁটা পড়ছিল। এ অবস্থায় ভোর থেকে সড়ক-মহাসড়কগুলোতে ছোট-বড় যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে হচ্ছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। দুর্ঘটনা এড়াতে রেলপথেও গতি কমেছে ট্রেনের। রংপুর আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সোমবার রংপুরে সকাল ৯টা পর্যন্ত তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সূর্যোদয় হয়েছে ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে। তবে সকাল ১০টা পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। মূলত কুয়াশা কেটে গেলে শীত বাড়ে। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না বলে জানান ওই আবহাওয়াবিদ।
শীতের তীব্রতায় খেটে খাওয়া মানুষগুলোর পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র না থাকায় দুর্ভোগও বেড়েছে কয়েকগুণ। নদী তীরবর্তী ও ছিন্নমূল মানুষরা রয়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
কৃষিজমিতে কাজের জন্য কৃষি শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না, যাদের পাওয়া যাচ্ছে তাদের দিতে হচ্ছে বেশি টাকা। এতে সার, বীজ ও সেচের সঙ্গে কৃষি শ্রমিকের মজুরিতে হচ্ছে বাড়তি খরচ।
এ ব্যাপারে রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান বলেন, শীতের শুরুতেই রংপুরে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়। ইতোমধ্যে ৪৫ হাজার কম্বল উপজেলা পর্যায়ে বিতরণের জন্য দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আরও ২৫ হাজারের চাহিদা পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন