কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পেঁয়াজের বাজারদর হঠাৎ ভালো হওয়ার খবরে চাষিরা পাইকারি বাজারে সরবরাহ বাড়িয়েছেন। গতকাল সোমবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার তারাগুনিয়া ও খলিশাকুণ্ডি পাইকারি বাজারে চাষিরা পেঁয়াজ সরবরাহ করেছিলেন অন্তত ২৪০ টনের বেশি। তবে আজ মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) সকালে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমে দাঁড়িয়েছে ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা কেজিতে।
এদিকে পেঁয়াজের দরপতনে চাষিরা পড়েছেন বিপাকে। চাষিরা বলছেন, হঠাৎ বেড়ে যাওয়া পেঁয়াজের দাম কমায় হতাশায় পড়েছেন তারা। দাম ভালোর খবরে অপরিপক্ব পেঁয়াজ তুলে বাজারে বিক্রি করলেও দাম কমায় তা আর তুলতে চাইছেন না। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার তারাগুনিয়া ও খলিশাকুণ্ডি পাইকারি বাজারে চাষিরা পেঁয়াজ সরবরাহ করেছিলেন অন্তত ২৪০ টনের বেশি, যা গত কয়েক দিনের তুলনায় দ্বিগুণ। যার বাজারদর গতকালের হিসাবে প্রায় দুই কোটি টাকার ওপরে।
আজ সকালে উপজেলার তারাগুনিয়ার পাইকারি বাজারে চাষিদের কাছ থেকে ৬৫-৬৮ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ কিনতে দেখা যায় ব্যবসায়ীদের। পাশাপাশি খুচরা বাজারে ১০০ টাকার নিচে পেঁয়াজ বিক্রি হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।
গতকাল সন্ধ্যায় উপজেলার তারাগুনিয়া বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সেলিম জানান, সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি ৩০০ বস্তা পেঁয়াজ কিনেছেন চাষির কাছ থেকে। বস্তাপ্রতি পেঁয়াজ আছে দুই মণ করে।
ইয়ারুল নামের আরেক পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী বলেন, রোববারের তুলনায় সোমবার দ্বিগুণ পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে বাজারে। গত শুক্রবার রাতে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি করবে না এমন খবরে সারা দেশের মতো দৌলতপুরের বাজারে শনিবার সকাল থেকে বেড়ে যায় পেঁয়াজের দাম। কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা বাড়িয়ে পেঁয়াজ বিক্রি হয় ১৫০-১৬০ টাকায়। এরপর থেকে স্থানীয় পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় কমতে শুরু করেছে দাম।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য বলছে, দৌলতপুরে এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩০০ হেক্টর বেশি জমিতে পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। যা এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২ হাজার ৫০০ হেক্টর।
মন্তব্য করুন