নির্মাণের ১৫ বছর পরেও অকেজো হয়ে পড়ে আছে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলা ডাকাতিয়া ও নদনা মধ্যবর্তী হাওরা গ্রামের স্লুইসগেটটি। এলাকাবাসীর ধারণা ছিল স্লুইসগেটটি সঠিকভাবে নির্মাণ হলে এলাকার আনুমানিক দশ হাজার একর জমিতে বোরো ধানের চাষাবাদ করা সম্ভব হতো। কিন্তু তার বিপরীতে উল্টোটা হয়েছে। স্লুইসগেটে পানি না থেকে, পানির সাথে ভেসে আসা কচুরিপানা আর ময়লা-আবর্জনার স্তূপ জমে আছে যা এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকার কৃষক।
স্থানীয় সূত্রে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দক্ষিণ কুমিল্লা এবং উত্তর নোয়াখালীর পানি নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্পের আওতায় ২০০৬-০৭ অর্থবছরে ডাকাতিয়া নদীর নদনা খালের মুখে মনোহরগঞ্জের হাওরা গ্রামে ডাকাতিয়া ও নদনা মধ্যবর্তী স্থানে প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে করে এ স্লুইসগেটটি নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের পর এটির আর কোনো মেরামত বা সংস্কার করা হয়নি। দীর্ঘদিন থেকে অকেজো হয়ে পড়ে আছে ডাকাতিয়া-নদনা খালের মধ্যবর্তী স্লুইসগেটটি। যা কৃষকদের কোনো উপকারে আসছে না। এ স্লুইসগেটটির কারণে নদীতে কোনো দেশীয় জাতের মাছ পাওয়া যায় না। এ নদীগুলোতে দেশীয় মাছ প্রায় বিলুপ্তির পথে। এলাকার কৃষকেরা এ স্লুইসগেটটি পুনরায় মেরামত করে চালু করার দাবি জানান।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. শহিদ উল্লাহ জানান, ইরি মৌসমে এ স্লুইসগেটির কারণে নদনা খালটি মরা খালে পরিণত হয়। কৃষকের উপকারার্থে এলজিআরডি মন্ত্রী ২২ কিলোমিটার খালটি পুনর্খনন করেন। কিন্তু স্লুইসগেটটির কারণে এর কোনো সুফল পাচ্ছে না কৃষকরা। তাই ছয়টি ইউনিয়নের কৃষকদের প্রাণের দাবি স্লুইসগেটটির অপসারণ করে খালটি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর কামনা করছি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান জানান, স্লুইসগেটটির বিষয়ে খবর নিচ্ছি, বরাদ্দ পেলে অতিশীঘ্রই মেরামতের উদ্যোগ নিব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজালা রানী চাকমা জানান, স্লুইসগেটের বিষয়টি আমি জেনেছি। উপজেলা ও জেলা সমন্বয় মিটিংয়ে উপস্থাপনা করেছি। এ কাজটি পানি উন্নয়ন বোর্ড করছে। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তার সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নিব।
মন্তব্য করুন