সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম ও সদস্য সচিব তারেক মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় শহরের শহীদ হোসেন রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে পরিত্যক্ত একটি দু’তলা বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, হরতাল-অবরোধের নামে শহর এবং শহরতলির বিভিন্ন স্থানে যানবাহন ভাঙচুরের ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের বিরুদ্ধে মামলা হয়। মঙ্গলবার সকালে তাদের নেতৃত্বে দুটি স্থানে চোরাগোপ্তা হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশ খবর পায় শান্তিবাগ এলাকায় এই দুজনসহ কয়েকজন ছাত্রদল নেতা নাশকতার পরিকল্পনা করছে। পরে পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। এ সময় একটি প্রাইভেট কার জব্দ করে পুলিশ।
সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি খালেদ চৌধুরী জানান, নাশকতার পরিকল্পনা করার সময় পুলিশ জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবকে শহরের শহীদ আবুল হোসেন রোড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। অন্যদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।
এর আগে সকালে সুনামগঞ্জে পুলিশ সদস্যদের বহনকারী একটি লেগুনাসহ দুইটি স্থানে চোরাগোপ্তা হামলা হয়েছে। এ সময় চারটি যানবাহন ভাঙচুর করেছে হরতাল সমর্থক বিএনপি কর্মীরা। মঙ্গলবার সকাল দশটা থেকে সাড়ে দশটার মধ্যে শহরের রায়পাড়া ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সামনে এই দুটি হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল দশটায় শহরের রায়পাড়ার গলির মুখে ৮-১০ জন বিএনপি কর্মী ঝটিকা হামলা চালিয়ে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা এবং একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ভাঙচুর করে। এর কয়েক মিনিট পর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সামনে সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে ৮-১০ জন বিএনপি কর্মী ঝটিকা হামলা চালায়। এ সময় তারা একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা ভাংচুর করে। এই সময়ে এএসআই কামরুল ইসলামসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য বহনকারী একটি লেগুনা এই পথ দিয়ে যাচ্ছিল, হামলাকারীরা এই গাড়িতেও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে দ্রুত আদালতের পাশের গলি দিয়ে পালিয়ে যায়।
পুলিশ বহনকারী লেগুনা চালক দুলাল মিয়া বলেন, সুনামগঞ্জ সদর থানা থেকে পুলিশ সদস্যদের তুলে মল্লিকপুর পাম্পে গিয়ে গ্যাস নেওয়া হয়। ফেরার সময় জেলা শিক্ষা অফিসের সামনে আসতেই কয়েকজন যুবক গাড়ি লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়ে। পুলিশ সদস্যরা গাড়ি থেকে নামতে নামতেই এরা আদালত এলাকার সীমানা দেওয়ালের পাশের গলি দিয়ে পালায়।
মন্তব্য করুন