ঝিনাইদহের শৈলকুপার রয়েড়া বাজার ও সদরের গোয়ালপাড়া বাজারে নির্বাচনী সহিংসতায় অনন্ত ৯ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার গোয়ালপাড়া ও শৈলকূপার রয়েড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনায় শৈলকুপায় ৫ জন ও ঝিনাইদহ সদরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ৪ জন নৌকার সমর্থকদের হামলায় গুরতর আহত হয়েছেন। এঘটনায় নৌকা প্রতীকের সমর্থক দুই কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
আহতরা হলেন- শৈলকূপা উপজেলার রয়েড়া বাজারের গহর বিশ্বাসের ছেলে সিঙ্গাপুর প্রবাসী খায়রুল ইসলাম (৪০) ও মো. আইয়ুব আলীর ছেলে ইউসুফ আলী (৬০), একই গ্রামের মো. জাহিদুল কবির ফিরোজের ছেলে মো. শুভ্র (৪৬), ওয়াজের আলীর ছেলে ইমরান (২২), আব্দুর রশীদ মোল্লার ছেলে পাভেল (২৩), সদর উপজেলার ঘোড়ামারা গ্রামের লিয়াকত লস্কারের ছেলে আকিজ লস্কার, রোজদার মন্ডল এর ছেলে আকাশ মন্ডল, ও মৃত হানেফ বিশ্বাসের ছেলে সেনাসদস্য রজব হোসেন ও বাজিতপুর গ্রামের মহসিন লস্কার এর ছেলে শুকুর আলী লস্কর।আহতদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ও শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ছাড়া শৈলকুপায় স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম দুলালের ট্রাক মার্কার নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করা হয় এবং ট্রাক মার্কার সমস্ত পোস্টার ছিড়ে ফেলা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ঝিনাইদহ-১ আসনে নৌকার প্রার্থী আব্দুল হাই এর পক্ষে উমেদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাব্দার হোসেন মোল্লা, বাচ্চু মোল্লা ও রুবেল হোসেনের নেতৃত্বে একটি মিছিল থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীক নজরুল ইসলাম দুলালের ৫ কর্মীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। এ সময় নজরুল ইসলাম দুলালের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করা হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
অন্যদিকে বৃহষ্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) ঝিনাইদহ-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের কর্মীরা গোয়ালপাড়া বাজারে একটি চায়ের দোকানে বসে চা পান করছিল। এ সময় নৌকা প্রতীকের সমর্থক চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া কাজলের নেতৃত্বে মিরাজ হোসেনসহ একদল ক্যাডার বাহিনী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। এ সময় তাদেরকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে তারা। আহতদের মধ্যে সদর উপজেলার ঘোড়ামারা গ্রামের রজবের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া শৈলকুপার রয়েড়া বাজার ও সদরের গোয়াল পাড়া বাজারের সহিংসতার ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, নির্বাচনী সহিংসতারোধে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছি। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ২ জনকে আটক করা হয়েছে। কে কোন প্রতীকের প্রার্থী সেটা আমাদের দেখার সময় নেই। যে ব্যক্তিই সহিংসতায় লিপ্ত হবে তাদেরকে কঠোর হস্তে দমন করা হবে।
মন্তব্য করুন