ঝিনাইদহ-১ (শৈলকূপা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের ওপর সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ১৫ জন নৌকার কর্মী-সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঠাকুরদাস মন্ডল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রয়েড়া গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে রিয়াজুল, ইসরাইল হোসেনের ছেলে মোকাদ্দেস হোসেন, রাজ্জাক আলীর ছেলে রনি মিয়া, জাবেদ আলীর ছেলে বাহারুল ইসলাম, জুমারত মোল্লার ছেলে সাইফুল মোল্লা, মৃত মকবুল মোল্লার ছেলে ছনু মোল্লা, ইব্রাহীমপুর গ্রামের মকছেদ মোল্লার ছেলে মাসুম মোল্লা, নতু হোসেনের ছেলে বকুল হোসেন, নেকবার মোল্লার ছেলে মনোয়ার হোসেন মোল্লা, সৈয়দ আলীর ছেলে আগা খাঁ, রঘুনন্দনপুর গ্রামের মৃত করিম মোল্লার ছেলে ফারুক মোল্লা, আড়ুয়াকান্দি গ্রামের নায়েব খন্দকারের ছেলে দাউদ হোসেন, গোয়ালবাড়ি গ্রামের শের আলীর ছেলে ওসমান আলী ও রতন মোল্লা, মজিদের ছেলে আল-আমিন।
এদিকে সারাদিন শৈলকুপায় উপজেলা শহরে প্রধান আলোচনার বিষয় ছিল নির্বাচনী সহিংসতা ঘটনার অন্যতম আসামি উমেদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাব্দার হোসেন মোল্লা কি গ্রেপ্তার হয়েছেন? পুলিশ বিষয়টি নাকচ করে বলেন, গ্রেপ্তার হননি, তবে তিনিও যে কোনো সময় গ্রেপ্তার হতে পারেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রয়েড়া বাজারে নৌকা প্রার্থীর একটি মিছিল থেকে ট্রাক প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থক সিঙ্গাপুর প্রবাসী খায়রুল বিশ্বাসসহ ৫ কর্মীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে।
এ ব্যাপারে শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঠাকুরদাস মন্ডল জানান, গতকালের নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় আহত সিঙ্গাপুর প্রবাসী খাইরুল বিশ্বাস পিতা গহর বিশ্বাস বাদী হয়ে উমেদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাব্থাদার হোসেন মোল্লাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। ওই মামলার এজাহার নামীয় ১৫ জন আসামিকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, নির্বাচনী সহিংসতা রোধে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছি। যারা সহিংসতায় লিপ্ত হবে তাদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে।
মন্তব্য করুন