রাজশাহীতে ঈদ সালামি দেওয়ার নাম করে আনিকা (৯) নামের এক শিশুকে অপহরণের পর ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার (৩ জুলাই) সকাল ৬টায় নগরীর ছোটবন গ্রাম এলাকার খোরশেদের মোড়ের এক পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এর আগে একই দিন ভোর সাড়ে ৪টায় নাটোর জেলা থেকে অপহরণকারী পলাশকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যমতে ওই পুকুর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।
গত শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাকে ঈদ সালামি দেওয়ার নাম করে নওদাপাড়া বাজার থেকে অপহরণ করা হয় আনিকাকে। এই ঘটনায় শিশুর বাবা আরএমপির শাহমাখদুম থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করেন।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নগরীর নওদাপাড়া এলাকা থেকে ঈদ সালামি দেওয়ার কথা বলে শিশুটিকে নির্জন জায়গায় নিয়ে যায় পলাশ। পরে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। এরপর শিশুটিকে গলাটিপে হত্যা করে লাশ পুকুরের ধারে কাঁদায় পুঁতে রাখে। রোববার স্থানীয় একটি স্বর্ণের দোকানে গিয়ে শিশু আনিকার কানের দুলটি বিক্রি করে নাটোর পালিয়ে যায় পলাশ।
পরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহয়তায় আরএমপির শাহমাখদুম থানা পুলিশ নাটোর জেলা থেকে হত্যাকারী পলাশকে গ্রেপ্তার করে।
শাহমাখদুম থানার ওসি (তদন্ত) নজরুল ইসলাম কালবেলাকে জানান, এ ঘটনায় শিশুর বাবা থানায় একটি জিডি করেন। এরপর থেকেই পুলিশ ব্যাপক তৎপরতা চালাতে থাকে শিশুটিকে উদ্ধারে। পরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহয়তায় আরএমপির শাহমাখদুম থানা পুলিশ নাটোর জেলা থেকে হত্যাকারী পলাশকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহমাখদুম জোনের উপপুলিশ কমিশনার নূর আলম সিদ্দিকী জানান, আটক পলাশের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে। আর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন