কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক রেলপথমন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুল হক মুজিব বলেছেন, যারা আওয়ামী লীগ করে নৌকার বাইরে চলে গেছেন তাদের প্রতি অনুরোধ, যদি সত্যিকারে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বিশ্বাস করেন, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে যদি মানেন, নৌকার প্রতি যদি আপনাদের আস্থা থাকে তাহলে সব ছেড়ে দিয়ে নৌকায় উঠে যান।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মিয়াজার হাইস্কুল মাঠে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, গত ১০ দিন সমস্ত চৌদ্দগ্রাম ঘুরে ঘুরে দেখলাম, চারদিকে শুধু নৌকার জোয়ার। মানুষের মাঝে ঈদের আনন্দ বিরাজ করছে। জনগণ অধীর আগ্রহে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। গোটা চৌদ্দগ্রামের মানুষ নৌকার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, আমার নেত্রী এবার ছাড়া আরও সাতবার আমাকে নমিনেশন দিয়েছেন। চারবার আমি পাস করেছি। ৩ বার সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর সাহেব যিনি এখন বেঁচে নেই, তাহের সাহেব যিনি এখনো বেঁচে আছেন এবং আল্লাহ আরও বাঁচিয়ে রাখুন- আমার কাছে ফেল করেছেন। কাজী জাফর সাহেব, তাহের সাহেব তাদের দলের বড় নেতা কিন্তু এখন যারা আমার বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়ে আমাকে গালাগাল করছে তারা কী তাদের চেয়েও বড় হয়ে গেছেন। আপনাদের কাছে বিচার দিয়ে গেলাম। এ চৌদ্দগ্রামের মানুষ ভালো, তারা বুদ্ধি বিবেক খাটিয়ে আগামী ৭ তারিখ নৌকায় ভোট দিয়ে আমাকে বিজয়ী করবেন এবং যারা দলের সঙ্গে বিশ্বাস ঘাতকতা করছে তাদের বিচার করবেন।
তিনি আরও বলেন, কিছু লোক আওয়ামী লীগ করে টিকিট না পেয়ে নৌকার বিরুদ্ধে চলে গেলেন। অন্য মার্কার ভোট করছেন, তাদের আদর্শ ঠিক আছে কি না আপনাদের কাছে বিচার দিলাম। দুইজন নেতা, একজন তমিজউদ্দিন সেলিম আরেকজন জসীম উদ্দিন দলের মনোনয়ন চেয়েছেন। না পেয়ে বললেন, আমরা নেত্রীর কাছে টিকিট চেয়েছি। দিলে ভোট করতাম। যেহেতু নেত্রী দেননি, মুজিব ভাইকে দিয়েছেন তার পক্ষে আছি, তার জন্য কাজ করব। এরা দলের পরীক্ষিত কর্মী এটাই পরীক্ষিত কর্মীর কাজ।
মিয়া মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন, চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার মেয়র জি এম মীর হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রহমত উল্লা বাবুল, উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান এবিএমএ বাহার, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেব লীগের উপদেষ্টা আবু তাহের, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য তমিজ উদ্দিন সেলিম, অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল বারি প্রমুখ।
মন্তব্য করুন