নাটোরের সিংড়া উপজেলার চলনবিল এলাকা থেকে খাঁচাবন্দি ছয়টি ঘুঘু পাখিকে উদ্ধারের পর অবমুক্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক ভবন চত্বরে ঘুঘু পাখিগুলো অবমুক্ত করেন সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা খাতুন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত পাখি বিক্রেতা মাহমুদ আলী ‘আর কখনো পাখি বিক্রি করবেন না’- এই মর্মে মুচলেকা দিয়েছেন।
‘চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটি’র সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় পরিবেশ কর্মীরা সিংড়া পৌরসভার মুরগীহাটি বাজারে বিক্রির সময় ঘুঘু পাখিগুলো উদ্ধার করেন। এদিকে, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির প্রশংসা করেন বাংলাদেশ বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা এবং তরুণ বন্যপ্রাণী গবেষক জোহরা মিলা।
তিনি জানান, কোনো ব্যক্তি পরিযায়ী পাখির মাংস ও দেহের অংশ সংগ্রহ বা দখলে রাখলে অথবা বেচা-কেনা করলে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড ও সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।
জোহরা মিলা বলেন, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ অনুযায়ী পাখি নিধনের সর্বোচ্চ শাস্তি এক বছর জেল, এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডও হতে পারে। একই অপরাধ ফের করলে শাস্তি ও জরিমানা দ্বিগুণের বিধানও রয়েছে।
মন্তব্য করুন