আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পাশাপাশি বিভিন্ন আসন উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। যে যার ইচ্ছেমতো ভোট দেবে, কেউ বাধা দিতে পারবে না। কোথাও কেউ কোনো সংঘাত করতে পারবে না।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবন থেকে রাজশাহীসহ পাঁচটি জেলা ও একটি উপজেলার নির্বাচনী জনসভায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি চাই শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। কোনো গণ্ডগোল ও সংঘাত চাই না। এ নির্বাচন যাতে মাইলফলক হয়ে থাকে সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশের সব খাতেই উন্নয়ন করেছে। বেকারত্ব ও দারিদ্র্যের হার কমেছে। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হয়েছে। নতুন নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল ভোগ করছে সবাই। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। কিন্তু জনগণ তা মেনে নেবে না।
এ সময় দেশের জনগণ এ নির্বাচনেও উন্নয়নের পক্ষে রায় দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ নিয়ে তো অনেকে খেলতে চায়। যারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না, জয় বাংলা স্লোগান যারা নিষিদ্ধ করে দেয়, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ যারা নিষিদ্ধ করে দেয়, তারা দেশটাকে ধ্বংস করবে। তারা যেন এ দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেটাই আমাদের লক্ষ্য। তাই নির্বাচন করতে হবে শান্তিপূর্ণভাবে। যার যার ইচ্ছা মতো ভোট দেবে। এখানে কেউ কাউকে বাধা দিতে পারবে না’।
পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর সরকারি কলেজ মাঠে রাজশাহীর এ নির্বাচনী জনসভার আয়োজন করা হয়। এখানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খয়রুজ্জামান লিটন।
রাজশাহী থেকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী-৫ আসনের নৌকার প্রার্থী আবদুল ওয়াদুদ দারা। এ সময় রাজশাহীর অন্য ৫টি আসনের নৌকার প্রার্থীসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। রাজশাহী জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ এ নির্বাচনী জনসভার আয়োজন করে।
মন্তব্য করুন