সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১১ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:২৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কারখানায় নিরাপত্তা প্রহরী হত্যার চাঞ্চল্যকর বর্ণনা দিলেন আসামি

গ্রেপ্তার হওয়া মামুন। ছবি : কালবেলা
গ্রেপ্তার হওয়া মামুন। ছবি : কালবেলা

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে নিরাপত্তা প্রহরী ফেরদৌস (১৮) হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনের দাবি করেছে পুলিশ। ইতোমধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত মামুন নামের একজনকে গ্রেপ্তার এবং হত্যায় ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। মামুন উপজেলার ঘোড়শাল গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। কারখানার রড চুরিতে বাধা এবং চাকরি হারানোর প্রতিশোধ নিতেই নিরাপত্তা প্রহরী ফেরদৌসকে খুন করেছেন বলে গ্রেপ্তার মামুন পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে শাহজাদপুর থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শাহজাদপুর সার্কেল) মো. কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, তালগাছি এলাকার আর কে টেক্সটাইল মিলের নিরাপত্তা প্রহরী ও শাহজাদপুরের মশিপুর গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে ফেরদৌস গত ৫ জানুয়ারি কর্মস্থলে গিয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেননি। ৮ জানুয়ারি তার বাবা আক্কাস আলী থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন।

জিডির পর পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে। বুধবার (১০ জানুয়ারি) ঢাকার আদাবর থানার সুনিবিড় হাউজিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামুন হোসেন (৩০) নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার জিম্মা থেকে নিহত ফেরদৌসের মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যে আর কে টেক্সটাইল মিলসে মাটি খুঁড়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কম্বল ও লোহার সোলাই রেন্জ এবং গর্ত করার কাজে ব্যবহৃত কোদাল উদ্ধার করে জব্দ করে পুলিশ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মামুন হত্যার দায় স্বীকার করে বলেন, ২০২০ সালে ওই মিলে কাপড়ের প্রিন্ট ডিজাইনার হিসেবে তিনি যোগদান করেন। চাকরির সুবাদে ফেরদৌসের সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক ছিল। ৪-৫ মাস আগে মিলের লোহার রড চুরির সময় তাকে হাতেনাতে ধরেন ফেরদৌস। এতে মামুনের চাকরি চলে যায়। তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ফেরদৌসকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।

গত ৪ জানুয়ারি মামুন ঢাকা থেকে এসে ফেরদৌসের সঙ্গে দেখা করে আগের ঘটনার জন্য মাফ চেয়ে তার সঙ্গে রাতে মিলের মধ্যে থাকতে চান। তারা ওই দিন মিলের মধ্যে এক সঙ্গে ঘুমান। ৫ জানুয়ারিও তারা রাতে এক সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়েন। ওই দিন রাত সাড়ে ৩টার দিকে মামুন চুরির উদ্দেশ্যে মিলের মধ্যে লোহার রড খুলতে থাকেন। রড খোলার শব্দে ফেরদৌসের ঘুম ভেঙে যায়। তিনি মামুনকে নিষেধ করেন এবং ড্রয়ারে থাকা সেলাই রেন্জ নিয়ে তাকে মারতে যান। মামুন তার হাত থেকে রেন্জটি কেড়ে নিয়ে ফেরদৌসের মাথায় সজোরে আঘাত করেন। ঘটনাস্থলে ফেরদৌস মারা গেলে পাশে থাকা কোদাল দিয়ে গর্ত করে তার মরদেহ বালির মধ্যে পুঁতে রেখে পালিয়ে যান।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইরাকের সরকার গঠনে বিদেশি হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র

লেবাননে ইসরায়েলি ড্রোন হামলা

আগামী সপ্তাহের মধ্যে ইউক্রেনকে শান্তি পরিকল্পনা মানতে হবে: ট্রাম্প

ভেড়ামারায় দুর্বৃত্তের গুলিতে গরু ব্যবসায়ী নিহত

রুয়েট প্রাক্তন ছাত্রদল অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি তুষার, সম্পাদক হাবীব

ভূমিকম্পে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে ৪১ জন আহত

ক্যারিয়ার শেষে কত উইকেট চান জানালেন তাইজুল

 ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করতে রাজউকের তাৎক্ষণিক পরিদর্শন

মেসিকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে যা বললেন ফ্লিক

গৌহাটি টেস্টের আগে ভারত শিবিরে দুঃসংবাদ

১০

শনিবার বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

১১

এই প্রজন্মে অন্ধ আনুগত্য, ভাই পলিটিক্স চলবে না : শিবির সভাপতি

১২

নাটকীয় জয়ের পরও নিজের ভুলে হতবাক আকবর

১৩

স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান : প্রধান উপদেষ্টা

১৪

নিউমার্কেট এলাকায় শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ 

১৫

ভূমিকম্পে ছেলের পর এবার চিকিৎসাধীন বাবার মৃত্যু

১৬

তারেক রহমানের জন্মদিনে ৫ হাজার মানুষকে উপহার দিলেন যুবদল নেতা

১৭

জামায়াতের নাড়িপোতা পাকিস্তানে : মাহমুদ হাসান 

১৮

ঐক্যবদ্ধভাবে পরস্পরের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান গণসংহতির

১৯

তারেক রহমান : ইতিহাসের অগ্নিপথ পেরিয়ে জাতির প্রত্যাশার শিখরে

২০
X