সাভারের আশুলিয়ায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সাইফুল ইসলাম অপু (২৮) নামে এক যুবককে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। ভুক্তভোগী সাইফুল আশুলিয়ার টংগাবাড়ি এলাকার জামাল উদ্দিন বেপারির ছেলে।
গত ৭ জানুয়ারি হামলার ওই ঘটনার পরপরই আটজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীর বড় ভাই শহিদুল ইসলাম বাবু।
মামলার আসামিরা হলেন, আশুলিয়ার টংগাবাড়ী এলাকার মো. মনো মাদবরের ছেলে হাসান মাদবর ওরফে মগন (২৮), মো. আবু সুফিয়ান মাদবরের ছেলে রানা মাদবর (২৭), মৃত তোতা মাদবরের ছেলে আবুল মাদবর (৬২), মো. সোবাহান মাদবরের ছেলে রনি মাদবর (২৭), মো. সিদ্দিক মাদবরের ছেলে তুহিন মাদবর (২৩), মৃত তোতা মাদবরের ছেলে মনো মাদবর (৫৫), মো. আবু সুফিয়ান মাদবরের ছেলে অলি মাদবর (২০) ও মো. মোস্তফা মাদবরের ছেলে মুন্না মাদবর (২৪) সহ অজ্ঞাত আরও তিনজন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার দিকে অপু তার বাড়ি সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এসময় জমিসংক্রান্ত বিষয়সহ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মামলায় উল্লিখিত আসামিরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র, লোহার রড, লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিতভাবে তার ওপর হামলা চালায় এবং কুপিয়ে জখম করে। পরে বিষয়টি শুনতে পেয়ে ভুক্তভোগীর বড় ভাই বাবু এগিয়ে এলে তার ওপরও হামালা চালানো হয়। একপর্যায়ে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
ভুক্তভোগী অপু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মামলা দায়েরের সাত দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারিনি পুলিশ। আমি অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানাই।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আরাফাত বলেন, এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামিদের মধ্যে সাতজন জামিনে রয়েছেন। অপরজন পলাতক রয়েছেন, তবে তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন