চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৫:৪১ এএম
আপডেট : ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:১৬ এএম
অনলাইন সংস্করণ

সেই পাঁচ ব্যবসায়ীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

শীতলপুর রি-রোলিং মিলস এর ফটক। ছবি : কালবেলা
শীতলপুর রি-রোলিং মিলস এর ফটক। ছবি : কালবেলা

২৩৫ কোটি টাকা ঋণখেলাপের অভিযোগে ওয়ান ব্যাংকের করা একটি মামলায় ২০৫ কোটি টাকার মধ্যে ৭ কোটি ২০ লাখ টাকা দাখিল করে মামলায় আপস করেছেন দেশের ইস্পাত খাতের অন্যতম প্রতিষ্ঠান শীতলপুর অটো স্টিল মিলস লিমিটেডের (এসএএসএম) পাঁচ ব্যবসায়ী। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে ৮ মাস আগে দেওয়া দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞাও প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে আরও ১৯৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে শীতলপুর স্টিলকে।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এ আদেশ দেন। বিষয়টি আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম কালবেলাকে নিশ্চিত করেন।

আদালত সূত্র জানায়, চট্টগ্রামে ঋণখেলাপি প্রতিষ্ঠানের তালিকায় নতুন করে নাম উঠেছে শীতলপুর অটো স্টিল মিলস লিমিটেডের (এসএএসএম)। চট্টগ্রাম নগরের এক ডজন ব্যাংকের শাখায় তাদের রয়েছে হাজার কোটি টাকার ঋণ। এর মধ্যে ওয়ান ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখাতেই খেলাপি ঋণ আছে ২৩৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। গত তিন দশকে অর্ধডজন নতুন প্রতিষ্ঠান গড়েছে তারা। এসব সম্পদ দেখিয়েই বিভিন্ন ব্যাংক থেকে অতিরিক্ত ঋণ নিয়েছে তারা। এভাবে এসএএসএম কারখানা ওয়ান ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধ করেনি। ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর ওয়ান ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখায প্রতিষ্ঠানটিকে ২৩১ কোটি ২২ লাখ ৮১ হাজার ৩৮৯ টাকা ঋণখেলাপি ঘোষণা করে। এ ঋণের বিপরীতে সীতাকুণ্ডে ১১৫ ডেসিমেল, শীতলপুরে ৪৪ ডেসিমেল এবং চট্টগ্রাম নগরীর উত্তর কাট্টলীতে ৩৮ দশমিক ৫০ ডেসিমেল জমি বন্ধক ছিল।

এ দিকে ২৩৪ কোটি ৫৪ লাখ ৭৬ হাজার ৭২৭ টাকা ৩৯ পয়সা খেলাপি ঋণ আদায়ে গত বছরের ১৩ এপ্রিল এসএএসএমের পাঁচ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ওয়ান ব্যাংকের চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদ শাখা মামলা করেন। পাঁচ ব্যবসায়ী হলেন- এসএএসএমর চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজিম উদ্দিন, পরিচালক মোহাম্মদ হোসেন, জানে আলম ও মাহবুব আলম। সেই মামলার বিচারে গত বছরের ১৬ মে চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান পাঁচ পরিচালকের বিরুদ্ধে কেন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হবে না তা ব্যাখ্যা চেয়ে একই বছরের ৩১ মে পাসপোর্টসহ আদালতে হাজির হওয়ার আদেশ দেন। পাশাপাশি তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশও দেন বিচারক। ২৩ মে আদালতে হাজির হয়ে ঋণ পুনঃতপশিলের আবেদন করেন তারা। তবে পর্যাপ্ত নথি দেখাতে না পারায় আদালত ২ জুলাইয়ের মধ্যে তাদের পাঁচ কোটি টাকা পরিশোধ করতে নির্দেশ দেন। সেই আদেশ অনুযায়ী তারা পাঁচ কোটি টাকা পরিশোধ করেন। এরপর আদালত নির্দেশ দেন এস এ এস এম ব্যাংকে ২০৫ কোটি টাকা পরিশোধ করবে। ইতোমধ্যে তারা ৭ কোটি ২০ লাখ টাকা পরিশোধ করে। আরও ১৯৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে শীতলপুর স্টিলকে।

প্রসঙ্গত, ১৯৮৫ সালে চট্টগ্রামের এ কে খান মোড়ে সিকো ট্রেডার্স নামে পুরোনো লোহা কেনাবেচার একটি ইয়ার্ড থেকে যাত্রা শুরু হয় শীতলপুর স্টিলের। ১৯৯৪ সালে চালু করেন শীতলপুর রি-রোলিং মিলস। ২০০৫ সালে তারা বিলেট উৎপাদন শুরু করেন। ২০০৯ সালে পুরোনো রি-রোলিং মিলকে আরও আধুনিক করে নাম দেয় শীতলপুর অটো স্টিল মিলস।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গ্রিন কার্ডের আবেদনে আসছে বড় পরিবর্তন

কেমন থাকবে আজকের ঢাকার আবহাওয়া

গাজাবাসীর জন্য রোজা থাকছেন বিশ্বের ১৫০ আলেম

ডেনমার্ক দূতাবাসে চাকরির সুযোগ

সকালে উঠেই কোন ভুলের কারণে বাড়ছে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি 

গাজা সিটির নতুন এলাকায় ট্যাংক নিয়ে ঢুকেছে ইসরায়েলিরা

বেড়েছে স্বর্ণের দাম, ভরিতে কত?

বাংলাদেশ-পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠতায় কতটা অস্বস্তিতে ভারত?

সারা দেশে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৬৬২

নির্মাণাধীন নভোথিয়েটার ও বিটাক দখলে নিলেন ববি শিক্ষার্থীরা

১০

আইভরি কোস্ট  / প্রেসিডেন্ট পদে দাঁড়াতে চান ৬০ জন

১১

রাজধানীতে আজ কোথায় কোন কর্মসূচি

১২

গাজায় অবিলম্বে নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জাতিসংঘের

১৩

আজ আপনার ভাগ্যে কী আছে, দেখে নিন রাশিফলে

১৪

২৮ আগস্ট : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

১৫

২৮ আগস্ট : টিভিতে আজকের খেলা

১৬

দুপুরের মধ্যে যেসব জেলায় হতে পারে বজ্রবৃষ্টি

১৭

বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১৮

ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প কর্মসূচি দিয়ে জবি ছাত্রীসংস্থার আত্মপ্রকাশ

১৯

২৮ আগস্ট : আজকের নামাজের সময়সূচি

২০
X