নাটোরের বড়াইগ্রামে স্কুলছাত্রদের ভলিবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় নাটোর-পাবনা মহাসড়কসহ পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এই সংঘর্ষে ৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পাঁচবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কয়েন ও ধানাইদহ গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- ধানাইদহ গ্রামের পটু আলীর ছেলে ওমর আলী (৬৫), ফয়েজ উদ্দিন মালিথার ছেলে মামুন মালিথা (৩৫), লোকমান হোসেনের ছেলে সাহাবুল ইসলাম (৩৫), কয়েন গ্রামের হাসেন আলীর ছেলে আব্দুর রহমান (৩০), মৃত কোরবান আলীর ছেলে রাজু আহম্মেদ (৩৬)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পাঁচবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ভলিবল খেলা নিয়ে ধানাইদহ গ্রামের উকিল আলীর ছেলে মিল্টন হোসেনের (১৫) সাথে কয়েন গ্রামের রবিউলের ছেলে আজিজুল ইসলামের (১৫) দ্বন্দ্ব হয়। এ সময় ধানাইদহ গ্রামের কয়েকজন আজিজুল ইসলামকে মারপিট করে। আজিজুল বাড়ি ফিরে গিয়ে বিষয়টি জানালে কয়েন গ্রামের মৃত কোরবান আলীর ছেলে রাজু আহমেদের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন ওই বিদ্যালয়ের ছাত্র ও ধানাইদহ গ্রামের সিফাত, আতাউর, শাহরিয়ার ও শাওনকে মারপিট করে। মারপিটের শিকার এসব ছাত্ররা বাড়িতে গিয়ে জানালে ধানাইদহ গ্রামের শতাধিক মানুষ কয়েন বাজারে গিয়ে জড়ো হয়। তারপর উভয় পক্ষ লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে কয়েন বাজার ও ধানাইদহ ব্রিজ এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজীব, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) বোরহান উদ্দিন মিঠু ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় ধানাইদহ গ্রামের লোকজন মাইকিং করে পুনরায় লোক সমাগম করলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
ধানাইদহ গ্রামের মামুন মালিথা জানান, আমাদের কয়েকজন শিক্ষার্থী স্কুলে গিয়ে মারধরের শিকার হয়। আমরা বিষয়টি জানতে গেলে কোরবান আলীর ছেলে রাজু আহমেদ অস্ত্র (পিস্তল) বের করে গুলি করে। আমরা এই ঘটনার জন্য রাজুকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি করছি।
এদিকে, গুলি করার বিষয়টি সত্য নয় বলে দাবি করেছেন রাজু আহম্মেদ। তিনি বলেন, ধানাইদহ গ্রামের লোকজন সব সময় আমাদের উপর অত্যাচার করে। সকালে আমাদের একজনকে মারধর করে। আমি প্রতিবাদ করলে তারা আমাদের ওপর হামলা করেছে।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি শফিউল আজম খান বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মারামারি হলেও গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটেনি।
মন্তব্য করুন