সদরপুর-চরভদ্রাসন (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০৩:০৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ফরিদপুরে বেড়েছে সরিষা চাষ, লক্ষ্যমাত্রা ১৫০ কোটি টাকা

সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করছে এক মৌমাছি। ছবি : কালবেলা
সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করছে এক মৌমাছি। ছবি : কালবেলা

গত বছরের তুলনায় কয়েক হাজার হেক্টর বেশি জমিতে সরিষা চাষ করেছেন ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার কৃষকরা। তারা বলছেন, বর্তমানে সরিষার তেলের চাহিদা বেড়েছে। অনেকে একে ভোজ্যতেল সয়াবিনের বিকল্প হিসাবেও ব্যবহার করছেন। আর এই ফসল স্বল্প খরচ ও সময়ে পাওয়া যায়।

ফরিদপুর সদরপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা নিটুল রায় বলেন, দেশীয় বাজারের ভোজ্য তেলের দর বৃদ্ধিতে এবার সদরপুরে বেড়েছে সরিষার চাষ। রবি মৌসুমের ফসল হিসাবে কৃষকের এতে আগ্রহ বেড়েছে। উপজেলার নয়টি ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি মাঠেই এবার আবাদ বেড়েছে সরিষার।

সার, ওষুধ, পানি ও অল্প পরিচর্যায় এবং সরকারি প্রণোদনা পাওয়ায় দিন দিন সরিষা আবাদে ঝুঁকছেন চাষিরা। উপজেলার ভাষানচর, চরবিষ্ণপুর, আকোটেরচরসহ বিভিন্ন এলাকার মাঠে অপরূপ শোভা ছড়াচ্ছে সরিষা ফুল।

সদরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, প্রচলিত দেশি সরিষার চেয়ে বারি-১৪ ও বারি-১৮ ফলন বেশি হওয়ায় চাষিরা আগ্রহী হচ্ছে। এ বছর উপজেলায় ২০৯০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় ৩৯০ হেক্টর বেশি। এ বছর সময়মতো ৪ হাজার কৃষককে উন্নত জাতের বারি-১৪ ও বারি-১৮ জাতের সরিষা বীজ, সার ও কীটনাশক দেয়া হয়েছে। ফলে তারা আমন ধান সংগ্রহের পর জমি ফেলে না রেখে সরিষা চাষ করেছেন।

সরজমিনে সদরপুর উপজেলার আকোটেরচর ও চরবিষ্ণপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠে গিয়ে দেখা যায়, গাছ দুই থেকে চার ফুট পর্যন্ত বড় হয়ে উঠেছে। হলুদ ফুলে ফুলে ভরে গেছে মাঠ। বাতাসে দোল খাচ্ছে ফুলে ভরা সরিষার গাছ।

চাষিরা জানালেন, বারি-১৪, ১৫, ১৬, ১৭, বিনা-৪, ৮, ৯, টরি-৭ জাতের সরিষা চাষ করেছেন বেশিরভাগ। উচ্চ ফলনশীল জাত হওয়ায় ভালো ফলনের আশা করছেন তারা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ মৌসুমে জেলায় ১৪ হাজার ৮৪২ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে হেক্টরপ্রতি ১ হাজার ৩৬০ কেজি বা ১.৩৬ টন।

সরিষার গড় বাজার মূল্য মণপ্রতি ৩ হাজার টাকার বেশি। সেই হিসাবে এই মৌসুমেই ১৫১ কোটি ৩৮ লক্ষাধিক টাকার সরিষা উৎপাদন করবেন জেলার চাষিরা।

ভাষানচরের চাষি মুন্নি মৃধা, ফজল শেখসহ কয়েকজন জানালেন, বোরো ধান রোপণের আগেই কম সময়ে একটি বাড়তি ফসল আবাদ করতে কৃষি বিভাগ পরামর্শ দিয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে বীজ রোপণের মাত্র ৮০-৯০ দিনের মধ্যেই ফসল তোলা যায়। বিঘাপ্রতি ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে। বৈরী আবহাওয়া না হলে বিঘাপ্রতি ৫-৬ মণ সরিষা বীজ পাওয়া যায়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, গত মৌসুমের তুলনায় ফরিদপুরে এ বছর ২ হাজারের বেশি হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের সরিষার আবাদ হয়েছে। চাষিরা আগে যেখানে দুই ফসল ফলাত এখন সেখানে তিন ফসল চাষাবাদ করছেন। এতে তারা বাড়তি লাভের মুখ দেখছেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ব্রাকসুর তপশিল ঘোষণা, নির্বাচন ২৯ ডিসেম্বর

ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহকারী আরেক কোম্পানির নাম ফাঁস

জকসুতে স্বতন্ত্র হিসেবে জিএস পদে লড়বেন বাঁধন সভাপতি মাবুদা

‘মব ভায়োলেন্স’ নিয়ে সতর্ক করলেন মির্জা ফখরুল

চাকরি হচ্ছে না? এই ২ আমলে দ্রুত মিলবে সমাধান

কারচুপির অভিযোগে মিস ইউনিভার্সের ২ বিচারকের পদত্যাগ

মুরগি চুরি নিয়ে বিরোধের ৯ দিন পর আরও এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু

ডেলিভারির ফাঁকে মেয়েকে পড়াচ্ছিলেন বাবা, ভিডিও ভাইরাল

একই পরিবারের ৩ সদস্যকে হত্যার ঘটনায় মামলা

মানবপাচারকারী ফখরুলের পক্ষে সাফাই  / সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে দ্রুত সভা শেষ করলেন আয়োজকরা

১০

মোবাইল দিয়েই ডিএসএলআর ক্যামেরার মতো ছবি তোলার ৫ কৌশল

১১

জাতীয় পর্যায়ে সাংবাদিকদের নিয়ে বার্ষিক ক্রীড়া আসর আয়োজনের ভাবনা আমিনুল হকের

১২

ফেসবুক পেজ জনপ্রিয় করার ৮ কৌশল

১৩

গুপ্তচরবৃত্তি ঠেকাতে নজিরবিহীন আইন করল রাশিয়া

১৪

চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি কোম্পানিকে দিলে গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে : ১২ দলীয় জোট

১৫

যুবদল নেতা কিবরিয়াকে কারা হত্যা করেছে, জানাল র‌্যাব

১৬

আদালতে পিবিআইর চার্জশিট, আত্মহত্যা করেছিলেন দুদকের পিপি নওরোজ

১৭

ডেঙ্গুতে এক দিনে প্রাণ গেল আরও ৬ জনের

১৮

ফোবানা বৃত্তি পেলেন নূর নবীসহ জবির পাঁচ শিক্ষার্থী

১৯

পৌরসভার সার্ভেয়ারের ঘুষিতে প্রাণ গেল ট্রাকচালকের

২০
X