চোরাই পথে বাংলাদেশ থেকে ভারতে শুকনা সুপারি পাচার করার সময় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বুধবার রাতে পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ উপজেলার সন্ধ্যা নদীতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আর এই সুপারি পাচার চক্রের মূল হোতাকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
এ ঘটনায় ইতোমধ্যেই নেছারাবাদ থানায় চার জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০/১২জনকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ।
এ মামলায় মো. হারুন হাওলাদার, মো. অলি হাওলাদার, মো. নূর নবী মাঝিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে এই চক্রের মূলহোতা ও মামলার চার নম্বর আসামি মঠবাড়িয়া উপজেলার ১নং তুষখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাজাহান হাওলাদারকে এখনও গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় নেছারাবাদ থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন এসআই মো. আসাদুজ্জামান।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, নেছারাবাদের সন্ধ্যা নদীতে রাত সোয়া ২টার সময় দুইটি ফিশিং বোটে করে চোরাই পথে সুপারি পাচার করা হচ্ছে- এমন খবর পেয়ে থানা পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের সিগন্যাল উপেক্ষা করে বোট দুটি যেতে চাইলে তাদের ধাওয়া করে আটক করে পুলিশ। পরে দুটি ফিশিং বোট থেকে ১০৮০ বস্তা শুকনা সুপারি উদ্ধার করা হয়। এসব সুপারি সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারতে পাচারের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। জব্দকৃত সুপারির আনুমানিক মূল্য প্রায় দেড়কোটি টাকা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, পলাতক ইউপি চেয়ারম্যান শাজাহান হাওলাদার কেবল সুপারি নয় নানা অবৈধ পণ্য ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত। এ ছাড়া বিভিন্ন পণ্য রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে নৌ-পথে ভারতে পাচার করেন তিনি। আর এসব পাচারকে কেন্দ্র করে গড়ে তুলেছেন বিশেষ এক সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেটের সদস্যদের বিরুদ্ধে মাদকসহ নানা ব্যবসা করার অভিযোগে মামলাও রয়েছে। এর মধ্যে সুপারি পাচারকাণ্ডে আটক মো. হারুন হাওলাদার, মো. অলি হাওলাদারের বিরুদ্ধে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলায় মাদকসহ নানা অপরাধে মামলা রয়েছে।
জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নেছারবাদ থানার উপপরিদর্শক মো. নুর আমিন কালবেলাকে বলেন, এ ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মো. শাজাহান হাওলাদারকেও গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। মামলাটি বর্তমানে তদন্তনাধীন।
মন্তব্য করুন