প্রায় একশ বছর আগের নকশায় থাকা নাটোরে হালতি বিলের একটি খাল উদ্ধারে খনন প্রকল্প হাতে নিয়েছে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বাব-দাদার আমল থেকে নিজেদের ভূমি হিসেবে খাজনা-পাতি দিয়ে চাষাবাদ করে আসা কৃষকরা জানে না, তাদের ব্যবহৃত জমি সরকারি খাল। লাল নিশান টাঙানোর পর থেকে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে শতাধিক কৃষকের কপালে।
জানা যায়, নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার হালতি গ্রাম থেকে সোনাপাতিল হয়ে মহিষমারি পর্যন্ত খাল পুনঃখনন শুরু করে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। ৪ দশমিক ৪ কিলোমিটার খালের প্রায় অর্ধেক কাটা শেষ হয়েছে গত শুষ্ক মৌসুমে। এ বছর শুষ্ক মৌসুমে অবশিষ্ট খাল খননে দেখা দিয়েছে বিপত্তি। নকশায় খাল থাকলেও বাস্তবে কোনো চিহ্ন নেই। সমতল ভূমিতে পরিণত হয়েছে সবই। এমনকি খালের সেই জমি ব্যক্তি নামে রেকর্ড ও বিক্রি হয়ে নিয়মিত চলছে খাজনা প্রদান।
নকশা অনুযায়ী, খালের জমি চিহ্নিত করে লাল নিশান টাঙিয়ে দিয়েছে বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। বাপ-দাদার জমি হারানো, জলাবদ্ধতা তৈরিসহ নানা অসুবিধার কথা জানিয়ে খাল খনন করতে দিতে রাজি নয় এলাকার কৃষক।
স্থানীয় কৃষক মিলু হোসেন, সোহেল রানা, আশরাফুল ইসলাম, নাছির উদ্দিনসহ অনেকে জানান, বাব-দাদার আমল থেকে আমরা খাজনা দিয়ে চাষাবাদ করে আসছি। এখন শুনি জমি নাকি সরকারি।
কৃষকরা দাবি জানান, এখানে খান খনন না করে, হালতি গ্রাম থেকে মাধনগর হয়ে যে খাল গিয়েছে সেটাই যেন খনন করা হয়।
নাটোর বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মতিন বলেন, কৃষকরা দাবি করছেন এগুলো তাদের সম্পত্তি। কিন্তু এক সময় এখানে খাল ছিল। জলাবদ্ধতা নিরসন ও পানির স্তরের সঠিকতা রাখার জন্য খাল খনন জরুরি।
মন্তব্য করুন