দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হলেও ফরিদপুরে এখনো সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। নির্বাচনকালীন সময়ে নৌকার পক্ষে কাজ করায় এক যুবকের বাম হাত ও ডান পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নের বিদ্যাধরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সৈয়দ শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে এ হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানা পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সদ্য সমাপ্ত জাতীয় নির্বাচনে ফরিদপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য এবং বর্তমান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমানের নির্বাচনী প্রচারে হাবিব শেখ নৌকার পক্ষে কাজ করে। এ নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য এবং স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী আরিফুর রহমান দোলনের সমর্থক ইউপি সদস্য সৈয়দ শরিফুল ইসলামের সঙ্গে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। এসবের জেরে রোববার সন্ধ্যায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হাবিবের ওপর দেশি অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সরফেজ মেম্বারের নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় সৈয়দ জাকের আলী, সৈয়দ আজিবুর আলী, সৈয়দ ইকলাজ আলী, আজিজুর মোল্লা, ইসমাইল মোল্লা, অপু মোল্লা, তাজমিন মোল্লা, রিয়াজ আলী গাজী প্রমুখ সরাসরি অংশ নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ইউপি সদস্য সরফেজ কালবেলাকে বলেন, আমি ঘটনার দিন বাড়ি ছিলাম না। মাকে নিয়ে নড়াইলে ছিলাম, পরের দিন সকালে এসেছি। গ্রামে গ্রুপিংয়ের কারণে আমাকে আসামি করে মামলা দেওয়া হয়েছে।
আলফাডাঙ্গা থানার ওসি (তদন্ত) শামিনুল হক কালবেলাকে জানান, হামলার খবর পেয়ে পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে যায়। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি, আমরা এ বিষয়ে তৎপর আছি।
মন্তব্য করুন