অমরেশ দত্ত জয়, চাঁদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সিঁড়ির নিচে চপ পেঁয়াজু বিক্রি করে স্বাবলম্বী চাঁদপুরের দুলাল

সিঁড়ির নিচে গরম গরম চপ, পেঁয়াজু ও ছোলাবুট বিক্রি করছেন চাঁদপুরের দুলাল দাস। ছবি : কালবেলা
সিঁড়ির নিচে গরম গরম চপ, পেঁয়াজু ও ছোলাবুট বিক্রি করছেন চাঁদপুরের দুলাল দাস। ছবি : কালবেলা

চাঁদপুর শহরে কোনো রকমে সিঁড়ির নিচে অবস্থান নিয়ে গরম গরম চপ, পেঁয়াজু ও ছোলাবুট বিক্রি করে স্বাবলম্বী হয়েছেন দুলাল দাস। সৎপথে থেকে যেকোনো অবস্থায় থেকেও যে ভালোভাবে জীবনযাপন করা যায় তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন তিনি।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জেলা বিএনপি কার্যালয়সংলগ্ন অপর পাশে বিকেলে দুলালের বানানো চপ পেঁয়াজু খেতে ভিড় দেখা যায়।

জানা যায়, নারায়ণ দাস ও মৃত অঞ্জলী দাস দম্পতির দুই ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে দুলাল সবার বড়। ষাটোর্ধ্ব দুলাল দাস চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়ার সাহা বাড়ির বাসিন্দা। সেখানে সামান্য পরিমাণে জমি কিনে স্ত্রী মিনতী রানী এবং রুদ্র দাস ও অর্পণ দাস নামে দুই ছেলে নিয়ে বসবাস করছেন। এর মধ্যে স্ত্রী গৃহিণী এবং বড় ছেলে রুদ্র দাস ঢাকা কলেজ থেকে মাস্টার্স দেবে ও ছোট ছেলে অর্পণ দাস গনি স্কুল থেকে এ বছরই এসএসসি দেবে। পরিবারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি দুলাল দাস নিজেই।

সরজমিনে দেখা যায়, দুলাল দাস সিঁড়ির নিচে ওই চিলেকোঠায় চপ, পেঁয়াজু ও বুট রান্না করছেন। পরে মুখরোচক গরম গরম এসব খাবার বুট প্লেটপ্রতি ১০ টাকা, চপ ৫ টাকা, ডিম চপ ১০ টাকা, মুরগি চপ ৩০ টাকা, পেঁয়াজু ও বেগুনি ৫ টাকা দামে এবং ৬ টাকা দামে প্রতি পিস আলু পুরি বিক্রি করছেন। প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকে তার দোকান।

পুনাক চাঁদপুরের প্রশিক্ষক রাখি মজুমদার বলেন, প্রায় ১৭ থেকে ১৮ বছর এই সিঁড়ির নিচে দুলাল দা পেঁয়াজু বিক্রি করছেন। আমরাও প্রায়ই টিফিন হিসেবে তার দোকান থেকে চপ-পেঁয়াজু কিনে খাই। দাদার সততাময় ব্যবসার সফলতা দেখে জীবন সংগ্রামে আমরাও অনুপ্রাণিত হচ্ছি।

এ বিষয়ে দুলাল দাস বলেন, এক সময় শহরের অযাচক আশ্রমে থাকলেও পরবর্তীতে জায়গা কিনে সাহা বাড়ি এলাকায় থাকার মতো একটা ঠাঁই করেছি। গ্রিলের ওয়ার্কশপে কাজ দিয়ে কর্মজীবন শুরু করলেও সংসারের খরচ পোষাতে না পেরে গেল ১৭ থেকে ১৮ বছর যাবৎ এখানেই সিঁড়ির নিচ ভাড়া নিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে কোনোমতে চপ-পেঁয়াজু বিক্রি করে টিকে আছি। দিনে হাজার ১২০০ টাকা সামান্যতম আয় হয়। যা দিয়েই সংসারের খরচ, এখানকার ভাড়া, ব্যবসার পুঁজি ও ছেলেদের পড়ালেখার খরচ বহন করছি। যদি একটা বয়স্ক ভাতাসহ সরকারি সুযোগ সুবিধা পেতাম তাহলে কিছুটা উপকার হতো।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভালোবেসে বিয়ে, ৫ মাসের মাথায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

বিচারককে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে জামায়াত নেতাকে অব্যাহতি

২০১৮ সালের নির্বাচনের বদনাম ঘোচাতে চায় পুলিশ : ডিএমপি কমিশনার

ওয়েস্ট হ্যামের বিরুদ্ধে চেলসির বড় জয়

নরসিংদী জেলা সাংবাদিক সমিতি, ঢাকা’র নতুন কমিটিকে সংবর্ধনা

কেইনের হ্যাটট্রিকে লেইপজিগকে উড়িয়ে দিল বায়ার্ন

নিখোঁজের একদিন পর যুবকের মরদেহ মিলল পুকুরে

বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ড্রয়ের তারিখ ঘোষণা করলেন ট্রাম্প

এশিয়া কাপ দলে জায়গা পেয়ে সোহানের কৃতজ্ঞতার বার্তা

ঘুষ কেলেঙ্কারিতে পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

১০

প্রবীণদের বিশেষ যত্ন নিয়ে বার্ধক্যের প্রস্তুতি নিন: স্বাস্থ্য সচিব

১১

বিভুরঞ্জন সরকারের মৃত্যু অনাকাঙ্ক্ষিত: রাষ্ট্রদূত আনসারী

১২

লা লিগার কাছে যে অনুরোধ করতে চায় বার্সা

১৩

‘নির্বাচনে আমলাদেরকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে’

১৪

সাবেক এডিসি শচীন মৌলিক কারাগারে

১৫

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা আসছেন শনিবার, যেসব বিষয়ে আলোচনা

১৬

সিদ্ধিরগঞ্জে হেফাজতে ইসলামের শানে রিসালাত সম্মেলন

১৭

শেষ দিনেও ‘জুলাই সনদ’ নিয়ে মতামত দেয়নি ৭ রাজনৈতিক দল

১৮

ইউরোপের লিগগুলোতে দল কমানোর প্রস্তাব ব্রাজিল কোচ আনচেলত্তির

১৯

নেপালে মার্কিন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকের প্রচার, তাসনিম জারার ব্যাখ্যা

২০
X