

নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হতে আর মাত্র ১ দিন বাকি। অথচ চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় মাধ্যমিক স্তরের প্রায় ৪৫ শতাংশ পাঠ্যবই এখনো উপজেলা শিক্ষা অফিসে পৌঁছায়নি। বিশেষ করে সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির বইয়ের মারাত্মক সংকটে পড়তে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এতে বছরের প্রথম দিনে বই উৎসবে সব শিক্ষার্থী নতুন বই পাবে কি না তা নিয়ে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবই নিয়ে কোনো সংকট নেই বলে শিক্ষা বিভাগ জানিয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, ইতোমধ্যে প্রাপ্ত বই সংগ্রহে ব্যস্ত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। বই বিতরণ কার্যক্রম তদারক করছেন উপজেলা প্রশাসন ও শিক্ষা বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানায়, উপজেলায় প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য চাহিদার শতভাগ বই ইতোমধ্যে এসেছে। উপজেলায় ১৮০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৭১টি কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থীদের জন্য মোট ১ লাখ ৬৮ হাজার ৩৮টি বই বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ফলে প্রাথমিক বই উৎসব নিয়ে স্বস্তিতে রয়েছেন শিক্ষকরা।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও ইবতেদায়ি মিলিয়ে শতাধিক প্রতিষ্ঠানের জন্য চাহিদা রয়েছে প্রায় ৩ লাখ ১৪ হাজার ৮০৬টি বইয়ের। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র ৫৫ শতাংশ বই উপজেলায় পৌঁছেছে। ষষ্ঠ ও নবম শ্রেণির আংশিক বই পাওয়া গেলেও সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির খুব সামান্য বই পাওয়া গেছে।
নতুন বছরের প্রথম দিন বই উৎসব উপলক্ষে যদিও সর্বত্র উৎসবের আমেজ তবুও মাধ্যমিক স্তরের বই সংকট কাটবে কি না, সেই দুশ্চিন্তায় এখন শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা তাকিয়ে শিক্ষা বিভাগের দিকে।
একাধিক শিক্ষার্থী জানান, বছর শুরুতে নতুন বই হাতে পাওয়ার আনন্দটাই অন্যরকম। কিন্তু এবার বই পাব কি না চিন্তায় আছি।
অভিভাবকরা জানান, সরকার বিনামূল্যে বই দিচ্ছে, এটা খুব ভালো। কিন্তু বছরের শুরুতে যদি সব বই না পাই, তাহলে পড়াশোনায় সমস্যা তৈরি হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফুল আলম বলেন, মাধ্যমিকের সব বই এখনও আসেনি এটা সত্য। তবে প্রতিদিনই নতুন নতুন বইয়ের ট্রাক আসছে। যেসব বই এখনও আসেনি, সেগুলো দ্রুত সরবরাহের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা কুলসুম মনি বলেন, শিক্ষার্থীদের হাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নতুন বই পৌঁছে দিতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। সংকট কাটিয়ে দ্রুত বই বিতরণ নিশ্চিত করা হবে।
মন্তব্য করুন