

এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম কমলেও দাম বেড়েছে পেঁয়াজের। দিনাজপুরের খানসামায় কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে কমেছে ২০-৩০ টাকা। অপরদিকে পেঁয়াজের দাম আবার বাড়তে শুরু করেছে। গত সপ্তাহের চেয়ে দেশি-বিদেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার খুচরা সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, কাঁচা মরিচ ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কয়েক দিন আগে ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এতে করে কেজিতে কমেছে ২০-৩০ টাকা। এদিকে দেশীয় পেঁয়াজ ৯০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কয়েক দিন আগেও খুচরা বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ ৬০ টাকা ও দেশীয় পেঁয়াজ ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এতে কেজিতে বেড়েছে ১০-২০ টাকা।
এ ছাড়াও সব ধরনের রসুনের দাম কমেছে। চায়না রসুন ২৪০ টাকা এবং দেশি রসুন ২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কয়েক দিন আগে চায়না রসুন ২৬০ টাকা কেজি দরে, আর দেশি ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এতে করে কেজিতে কমেছে ২০ টাকা।
খানসামা বাজারে সবজি কিনতে আসা সাজু ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ‘শীতে অনেক সবজির দাম হাতের নাগালেই আছে। কাঁচা মরিচের দাম অনেকটাই কমেছে তবে পেঁয়াজের দাম একটু বেড়েছে। প্রতিনিয়ত কোনো না কোনো জিনিসের দাম বাড়ছে, আবার কমছে। আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের যদি সব নিত্যপণ্যের দাম কম থাকত, তাহলে সবার জন্য খুব ভালো হতো।’
খানসামা বাজারে সবজি বিক্রেতা শাহিনুর ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ‘আমরা সীমিত লাভে বিক্রি করছি। পাইকারি বাজার থেকে কিনে এনে প্রকারভেদে ৫-১০ টাকা লাভে বিক্রি করছি। এ ছাড়া পরিবহন খরচ তো রয়েছেই। মরিচের আমদানি বেড়ে যাওয়ায় দাম কমেছে। তবে আদমানি কমে যাওয়ায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হলে দাম অনেকটাই কমে আসবে।’
মন্তব্য করুন